ছাত্র-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় তার পাশে ছিলেন না দলীয় কোন মন্ত্রী বা নেতাকর্মী। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামীলীগের এই পরিস্থিতির জন্য সাবেক দুই মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ড. হাসান মাহমুদকে দায়ী করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হেমায়েত উদ্দিন।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ওবায়দুল কাদের ও ড. হাসান মাহমুদের তিনটি ছবি শেয়ার করে হেমায়েত লিখেন, ‘আপনারা কোথায়? আপনাদের কথার কারনে সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়েছে।আপনারা দুজনই– বিএনপি — নেতাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন।যেটার প্রতিদান আমরা এখন পাচ্ছি।’
তিনি লিখেন, ‘আগে বিরোধী দলের নেতাদের সাথে – সরকারীদলের নেতাদের দলীয় মতভেদের বাহিরে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতো।আপনারা সেই সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। আপনারা তো আওয়ামী লীগের কোন কর্মীর উপকার করেননি– মন্ত্রী থাকা অবস্থায় — নিজেদের আখের গোছাইছেন– বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে আসল কথা না বলে – শুধু চামচামি করে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে দলের ব্যাপারে ভূল ইনফরমেশন দিতেন।আপনারা সিন্ডিকেট করে – বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে দলীয় নেতা-কর্মি থেকে বিচ্ছিন্ন রেখেছিলেন।’
হেমায়েত আরও লিখেন, ‘আপনাদের মুখের কথার বিষ– এখন আমরা নিরবে ভক্ষন করছি– আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধবাদদের থেকে। অতীতে বিরোধী দলের নেতাদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাদের একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল।যেটা বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গিয়েছিলেন। আপনারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হয়ে সেই শিক্ষা ভূলে গিয়েছিলেন। হাসান মাহমুদ সাহেব– ২০০১ সালে ও পালিয়ে গিয়েছিলেন– এইবারও চোরের মতো পালিয়ে গেলেন– রেখে গেলেন– অনেকগুলো বিষবৃক্ষ –যেগুলো এখন– নিরীহ আওয়ামী লীগের নেতা- কর্মীরা — জান-মাল দিয়ে পূরন করছে।’