সাবেক এমপিদের সেই ২৪ গাড়ির নিলামে সাড়া নেই

New-Project-2025-02-18T124853.111.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক সংসদ সদস্যদের (এমপি) নামে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা জাপানি ২৪টি ল্যান্ড ক্রুজার বিলাসবহুল জিপ নিলামে তুলেও বিক্রি করতে পারছে না চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। প্রথমবার আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় এসব গাড়ির জন্য দ্বিতীয় দফা নিলাম ডাকা হতে পারে।সোমবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (নিলাম) মো. সাকিব হোসেন জানান, এমপিদের নামে আমদানি করা ২৪ গাড়ির মধ্যে ১৫ টির জন্য বিড হয়েছে। তবে প্রত্যাশিত মূল্য পাওয়া যায়নি। এসব গাড়ির দর উঠেছে সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশের নিচে। নিয়ম অনুযায়ী ৬০ শতাংশ মূল্য না পাওয়া গেলে পুনরায় নিলাম ডাকতে হয়।

এদিকে, এমপিদের বাকি ৯টি গাড়ি কিনতে কেউ আগ্রহ দেখাননি। প্রতিটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা।

মো. সাকিব হোসেন জানান, অন্য গাড়িগুলোর মধ্যে ১৫টিতে ৬০ শতাংশ বা এর বেশি দর পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই শেষে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সাবেক সংসদ সদস্যদের ২৪টিসহ মোট ৪৪টি গাড়ির ই-নিলামে জমা পড়া দরপত্র সোমবার পর্যালোচনা করা হয়।

সূত্র জানায়, ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত অনলাইন নিলামে জাপানের ল্যান্ড ক্রুজার তোলা হয় ২৬টি। এর মধ্যে ২৪ জন সাবেক এমপির গাড়ি ২০২৪ মডেলের এবং অন্য দুইটি আরও আগের। নিলামে ছিল পাঁচটি টয়োটা হ্যারিয়ার, দুইটি টয়োটা র‌্যাভ ফোর, একটি টয়োটা এস্কোয়ার ও চীনের তৈরি হেভি ডিউটির সিনো ডাম্প ট্রাক ১০টি। নিলামকারীদের জন্য গাড়ি দেখার সুযোগ ছিল ২-৪ ফেব্রুয়ারি।

গত সংসদের সদস্যদের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৪টি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের ৫ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংসদ ভেঙে যাওয়ায় এমপিরা আর শুল্কমুক্ত সুবিধা পাননি। শুল্ক পরিশোধ করে ছাড় করাতেও আগ্রহ দেখা যায়নি। খালাস না নেওয়ায় পরবর্তী সময়ে গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়।

Leave a Reply

scroll to top