বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় এবার ভারতের নদিয়া থেকে গ্রেপ্তার হলেন এক নারী। পিটিআই সংস্থা জানায়, সোমবার নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালায় মুম্বাই পুলিশ। অবশেষে চাপড়া অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক নারীকে। পুলিশের দাবি, এই নারীর সাহায্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে পা দেয় শরিফুল।
আরও জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া নারী আসলে মুর্শিদাবাদের আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে বর্তমানে মুম্বাইয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের।
পুলিশের দাবি, ধৃত ওই মহিলার সঙ্গে সইফের উপর হামলাকারীর যোগ রয়েছে। ওই মহিলার সাহায্যেই নাকি বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছিলেন সইফের হামলাকারী শরিফুল।
এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল সইফ মামলায় অভিযুক্তরা মেঘালয়ের ডাউকি নদী পার হয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়ে। এদেশে আসার পর বেশকিছু পশ্চিমবঙ্গেই ছিল তারা। তারপর কাজের সন্ধানে মুম্বই পাড়ি দেয়। স্থানীয় লোকজনের আধার কার্ড দিয়ে সিমকার্ড সংগ্রহ করে হামলাকারী শরিফুল। এমনকি সে নিজের নামে আধারকার্ড বের করারও চেষ্টা করে, তবে সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
প্রসঙ্গত, বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর হামলা হয় গত ১৬ জানুয়ারি। সেদিন নিরাপত্তার ফাঁকতালে অভিনেতার ১২ তলার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পড়ে মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। পাইপ বেয়ে বাথরুমের ভিতর দিয়ে সে ঘরে ঢুকে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। এরপর প্রথমে শরিফুল মুখোমুখি হয় জেহ-র আয়া – এলিয়ামা ফিলিপসের। তিনি বাধা দিলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র বের করে ভয় দেখানো হয়। তখন কাঁদতে শুরু করে জেহ। ছোট ছেলের চিৎকার, কান্নার আওয়াজে উপর থেকে নেমে আসেন সইফ। মি. খান অভিযুক্তকে থামানোর চেষ্টা করেন এবং সক্ষমও হন। তবে ঠিক তখনই সে অভিনেতার পিঠে, ঘাড়ে এবং হাতে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করে। আহত হওয়া সত্ত্বেও, অভিনেতা অনুপ্রবেশকারীকে ঘরের ভেতরে ঠেলে দেন সইফ। কারণ মিসেস ফিলিপস জেহকে নিয়ে দৌড়ে যান এবং তাকে আটকে রাখেন। এরপর বড় ছেলে তৈমুরের হাত ধরেই নাকি হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন সইফ। আর এর পরের ঘটনা এতক্ষণে সকলেরই জানা।