সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। বিভিন্ন মন্ত্রণালেয়ের সচিবদের কাছে ৯ দফা নির্দেশনা পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মো. মোখলস উর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব নির্দেশনার তথ্য জানানো হয়েছে।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
নিজ অধিক্ষেত্রের যেকোনো অনুষ্ঠানে যোগদানের চূড়ান্ত আমন্ত্রণ গ্রহণের পূর্বে আয়োজক প্রতিষ্ঠান/সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে নিবিড়ভাবে তথ্য সংগ্রহপূর্বক আমন্ত্রণ চূড়ান্ত করা। বিতর্ক এড়ানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথি সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা। কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকায় থাকলে ঐ অনুষ্ঠান পরিহার করা। আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র/ব্যানার/লিফলেট/পতাকা/অন্যান্য যেকোনো ছাপানো কাগজের বর্ণনা, লোগো বা স্লোগান ইত্যাদি বিষয়ে কোনো আপত্তিকর/ বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করা। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা গ্রহণ। নিজস্ব অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র/ ব্যানার/ চিঠি/ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন/ সাজ-সজ্জা/ সার্টিফিকেট/ট্রফি-মেডেল/স্যুভেনির ইত্যাদি ভালোভাবে পরীক্ষা করা। এসব ডকুমেন্ট অথবা স্মারকে যেন কোনো প্রকার আপত্তিকর বা বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান বা বক্তব্য না থাকে, তা নিশ্চিত করা। সরকার কর্তৃক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে যেসব দিবস বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেসব দিবস যেন পালিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। সরকার কর্তৃক বাতিল ঘোষিত দিবসগুলোর পূর্ববর্তী বছরগুলোর সব স্মারক/ক্রেস্ট/ছবি/ স্যুভেনির ইত্যাদি সব অফিস থেকে অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আনুষ্ঠানিক প্রতিটি সভা/অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত বক্তব্য প্রস্তুতপূর্বক পাঠ করা। লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো কথা/স্লোগান/জয়ধ্বনি/বাক্য বলা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা। যেকোনো প্রকারের গুজব থেকে নিজে এবং নিজ অধিক্ষেত্রের সব সহকর্মীকে দূরে রাখা।