আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলো প্রায় ছ মাস। এর মধ্যে দেশের বাইরে থেকে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে একাধিক কর্মসূচি দিয়েছিল দলটির বিভিন্ন নেতাকর্মী। তবে সেসব নেহাতই কাগজে-কলমেই বলা চলে। বাস্তবে আওয়ামী লীগের হয়ে মাঠে নামেনি, বলা চলে মাঠে নামতে পারেনি কেউ।
তবে এবারে ২০২৫ সালের শুরুতেই নতুন উদ্যোমে চলছে মাঠে নামার প্রয়াশ। আগামী ফ্রেব্রুয়ারি মাসব্যাপী কর্মসুচি পালনের আশা রাখছে শেখ হাসিনার দল। আগামী মাসের ১ তারিখে লিফলেট ও প্রচারপত্র বিলির মধ্য দিয়ে শুরু হবে তা।
তবে আ.লীগ এসব কর্মসূচি পালন করতে চাইলেও আদতে তা সম্ভব নয়। যতক্ষণ আওয়ামী লীগ জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও তাদের সব কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা না চায় ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোন বিক্ষোভ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো ন্যায্য বিক্ষোভ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করেনি। আমরা সমাবেশ করার স্বাধীনতা এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
বাকিরা সভা সমাবেশ করতে পারলেও খুনিদের জন্য সেই সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘আমাদের কি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ করার সুযোগ দেওয়া উচিত? জুলাই-আগস্টের ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায় যে আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যায় অংশ নিয়েছিল। তাদের পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহীদ হয়েছেন কয়েকশ তরুণ শিক্ষার্থী, এমনকি নাবালক শিশুরাও। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা, খুন ও তাণ্ডবের জন্য দায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার। যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ এই গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড এবং প্রকাশ্য দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চাইবে এবং যতক্ষণ না তাদের অন্যায়কারী নেতাকর্মীরা বিচার ব্যবস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করে তাদের অপরাধের জন্য বিচারকার্যের প্রক্রিয়া শুরু করে পাপমোচন করতে উদ্যোগ না নেবে এবং যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ তাদের বর্তমান নেতৃত্ব ও ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে নিজেকে আলাদা না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।’
অপরদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকাসহ সারা দেশে দুই ধাপে সমাবেশ করার পরিকল্পনার পাশাপাশি মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপিও। আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে ফেব্রুয়ারিতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে দলটি।