গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কথিত সাধক মনির শাহ ওরফে জয়গুরু মনির শাহকে উত্তেজিত জনতা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক।
মনির শাহ সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীপুরের বারতোপা গ্রামে ফুলানিরসিট এলাকায় বন বিভাগের জায়গা দখল করে ‘হেরা বন পাক দরবার শরিফ’ নামে আস্তানা গড়ে তোলেন। সেখানে তিনি ‘বিশ্ব মানব ধর্ম মেলা’ নামে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করতেন।
এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে বন বিভাগের করা মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং তার আস্তানা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি পুনরায় সেখানে আস্তানা স্থাপন করেন এবং ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক ওরসের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে মনির শাহ এলাকায় সমালোচিত ছিলেন। তার আস্তানা উচ্ছেদের পরও আবার তা প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে ‘ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা’র উদ্যোগে রোববার শ্রীপুরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
সভা শুরুর আগে সকালে মনির শাহ মাওনা চৌরাস্তার জামিয়া ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসায় যান সমঝোতার চেষ্টা করতে। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাকে দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং মারধর করেন। পরে স্থানীয় আলেম-ওলামারা তাকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে জামিয়া ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জামাল উদ্দিন বলেন, উত্তেজিত জনতা মনির শাহকে মারধরের চেষ্টা করলে আমরা তাকে মাদ্রাসার ভেতরে এনে হেফাজতে রাখি, পরে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার চৌধুরী মো. যাবের সাদেক বলেন, মনির শাহকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।