জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আজ বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের এই চার দিনের সফরসূচি তুলে ধরেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে তাঁর মূল কর্মসূচি মূলত শুক্র ও শনিবার।
শুক্রবার কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ব্যক্তির সফরকে ঘিরে কক্সবাজার এবং উখিয়ায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামীকাল শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের কক্সবাজার আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সাদা পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিয়োজিত রয়েছে এক হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে জাতিসংঘের মহাসচিবকে স্বাগত জানাবেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক। এরপর কক্সবাজার শহর থেকে জাতিসংঘ মহাসচিবকে নেওয়া হবে উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে। এদিন বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে উখিয়ার আশ্রয় শিবিরে পৌঁছাবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সফরটি রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। তারা মনে করছেন, এটি মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের দাবি জানানোর গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
এ সফরে সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) কর্তৃক রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা অর্ধেক কমিয়ে আনার বিষয়টিও আলোচনায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবেন রোহিঙ্গারা।
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতরেস ২০১৮ সালে সর্বশেষ রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন এসেছিলেন। তবে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথম সফর।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর হবে। এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে।