শীতে ত্বক ভাল রাখতে প্রাকৃতিক তেলের উপকারীতা

তেল-1.jpg
২৪ ঘন্টা বাংলাদেশ ডেস্ক

শীতের শুষ্কতায় রুক্ষতা বেশি। ধীরে ধীরে জেকে বসছে শীত। আর্দ্রতার অভাবে ত্বকে ইতোমধ্যেই টান ধরতে শুরু করেছে। খসখসে হওয়ার পাশাপাশি ত্বক হারাতে বসেছে স্বাভাবিক জেল্লা। এমন পরিস্থিতিতে ত্বকের যত্ন নিতে আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

এই শীতে ত্বক ভাল রাখতে প্রাকৃতিক তেল অনেক উপকারী। ক্রিম বা লোশন ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক এই চারটি তেল ব্যবহার করলেই দারুণ উপকার পাবেন।

অলিভ অয়েল

শীতকালে ত্বকের যত্নে আমাদের বাসায় যে তেলটি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত সেটা হলো অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি এজিং উপকরণ ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এটি নিয়ম করে ব্যবহার করলে ত্বক স্থিতিস্থাপক হয় অর্থাৎ অলিভ অয়েল ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে থাকে। তাই শীতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখাতে স্কিনকেয়ার রুটিনে যোগ করুন অলিভ অয়েল।

আমন্ড অয়েল

ড্রাই স্কিনের জন্য আমন্ড অয়েলের জুড়ি নেই। আমন্ড অয়েলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, আছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই যেটা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদামের তেলে শুধু শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি দেয় না, পাশাপাশি ত্বকে পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করে।

এই ছাড়া আমন্ড অয়েলের ব্যবহারে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল হালকা হয়ে যায়। ভালো ফল পেতে ঘুমানোর আগে প্রতি রাতে এটি আপনার চোখের নিচে লাগিয়ে ঘুমান। আমন্ড অয়েল ফাটা গোড়ালির সমস্যাও দূর করে। গোড়ালি ফাটার সমস্যা দূর করার জন্য সারারাত এই তেল পায়ে লাগিয়ে রাখতে পারেন

রোজহিপ অয়েল 

বিউটি ট্রেন্ডে নতুন সংযোজন রোজহিপ অয়েল। এই অয়েলে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের জন্যে খুব উপকারি। এতে আছে ভিটামিন এ এবং সি। এই দুই উপাদান কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় ফলে ত্বক টানটান হয়ে থাকে। মুখের বলিরেখাও মলিন করে তোলে।

অনেকেরই নখ খুব দুর্বল হয়, দ্রুত বাড়ে না বা ভেঙে যায়, সেক্ষেত্রে প্রতিদিন এই তেল ব্যবহার করা উচিত। এটি নখকে শক্তিশালী করে তোলে। শীতে আপনার ফেসপ্যাকে রোজহিপ অয়েল মিশিয়ে তা ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। সরাসরিও এই তেল মুখে লাগাতে পারেন।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেলের উপকারি গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এটি আমাদের ত্বকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে থাকে ত্বকের শুষ্কতা ও ফ্ল্যাকিনেস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

নারিকেল তেল আমাদের ঠোটের জন্য ন্যাচারাল লিপ বাম হিসেবেও কাজ করে। নিয়মিত ব্যবহারে ঠোট ফাটা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে ঠোটকে নরম রাখতে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ঠোটের কালচে ভাব ও মৃত কোষ দূর হয় এবং ঠোটের উজ্জ্বলতা ও নমনীয়তা বজায় রাখে।

Leave a Reply

scroll to top