পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা (সহকারী তহশিলদার) জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তরমুজ পরিবহনে বাধা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবাদে তরমুজচাষিরা মানববন্ধন করেছেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গহিনখালী লঞ্চঘাটে তরমুজচাষিরা এই মানববন্ধন করেন।
স্থানীয় তরমুজচাষিদের অভিযোগ, পরিবহনের সুবিধার্থে চলতি মৌসুমে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের গহিনখালী গ্রামের তরমুজচাষিরা অস্থায়ী একটি ঘাট করে নৌপথে তরমুজ বাজারজাত শুরু করেন। কিন্তু ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম গিয়ে ওই ঘাট থেকে তরমুজ পরিবহন করতে চাষিদের বাধা দেন। সেই সঙ্গে তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন আরেকটি ঘাট থেকে তরমুজ পরিবহনে চাপ প্রয়োগ করেন। তাঁর কথা মেনে না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে হুমকি দেন।
একপর্যায়ে চাষিদের সুবিধামতো ঘাট থেকে তরমুজ পরিবহন করতে হলে ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কাজী জাহিদুল এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলেও অভিযোগ করেন চাষিরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গহিনখালী লঞ্চঘাট-সংলগ্ন অস্থায়ী ঘাটে মানববন্ধন করেন তরমুজচাষিরা।
কর্মসূচিতে গহিনখালী গ্রামের তরমুজচাষি বশির উদ্দিন বলেন, ‘খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় আমরা আমাদের সুবিধার্থে বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি নিয়ে এখানে ঘাট করে তরমুজ বাজারজাত করি। কিন্তু জাহিদ তহশিলদার এসে আমাদের এখান থেকে তরমুজ পরিবহন করতে নিষেধ করেন। এখান থেকে তরমুজ পরিবহন করতে হলে তাঁকে এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানান। এ ছাড়া কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দিয়েছেন তহশিলদার।’
একাধিক তরমুজচাষি জানান, চাষিদের সুবিধামতো যেখানে ভালো হয়, সেখান থেকে তরমুজ পরিবহন করবে। কিন্তু তহশিলদার কাউকে নির্দিষ্ট ঘাট থেকে তরমুজ পরিবহন করতে চাপ দিতে পারেন না। এটা অন্যায়, এটা জুলুম।
এ বিষয়ে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গহিনখালী একটি বিআইডব্লিউটিএর ঘাট এবং উপজেলা প্রশাসনের আরেকটি ঘাট আছে। মাঝখানে একটি সিন্ডিকেট নতুন করে একটা ঘাট বসিয়েছে। এই ঘাটে বাধা দেওয়ার জন্য আমি গিয়েছি। বলেছি যে নতুন করে এই ঘাট আপনারা করতে পারবেন না। টাকা চাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত নই। কোনো কৃষক লিখিত অভিযোগ করলে উল্লেখিত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’