রমজানের আগেই খেজুরে স্বস্তি

New-Project-2025-02-19T114558.689.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

রোজা ঘনিয়ে এলেই শুরু হয় খেজুর নিয়ে সিন্ডিকেট । সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যায় ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর। কয়েক বছর ধরে এমনটাই দেখা গেছে বাজারে। তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে এবার। গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ‘খেজুর মাফিয়া’ সিন্ডিকেট ভেঙে পড়ায় আমদানিতে উৎসাহ ফিরে পেয়েছেন ছোট আমদানিকারকেরা। এতে কিছুটা কমেছে খেজুরের দামও।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে খেজুর আমদানি ও বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন নামমাত্র কয়েকজন ব্যবসায়ী। তাঁরাই নির্ধারণ করতেন এর বাজার। সরকার পতনের পর মদিনা গ্রুপের কর্ণধার আওয়ামী লীগ নেতা হাজি মোহাম্মদ সেলিম ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলামের মতো তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ শক্তিশালী সিন্ডিকেট শিরোমণিরা বর্তমানে কারাগারে। তাই এবার ছোট ছোট আমদানিকারক খেজুর আমদানিতে মনোযোগী হয়েছেন। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এবার আমদানি বেশি হয়েছে। এ ছাড়া সরকারও সব ধরনের খেজুরে অগ্রিম কর অব্যাহতি, কাস্টমস ডিউটি ও অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু কমিয়েছে। এতে খেজুরের মূল্য ক্ষেত্রবিশেষে সর্বোচ্চ ৪৪৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের আইনবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এবার খেজুরের বাজার একেবারে ঠান্ডা। অন্যবার সিন্ডিকেট করে কয়েকজন ব্যবসায়ী পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করতেন। এবার তাঁরা হয় কারাগারে, নয়তো আত্মগোপনে। ছোট ব্যবসায়ীরা এবার খেজুর আমদানির সুযোগ পেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি খাতুনগঞ্জের মজুমা ট্রেডার্স ও আমানত এজেন্সির মতো ছোট ছোট আমদানিকারককে উদাহরণ হিসেবে সামনে এনেছেন।

আমদানিকারদের তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক বাজারে বস্তায় করে আমদানি হওয়া নরম খেজুরের ক্রয়মূল্য প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭৪ টাকা। কিন্তু গত বছর ১২০ টাকা (১ ডলার) অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ধরে শুল্কায়ন করে এনবিআর। একইভাবে গত বছর প্রতি কেজি নিম্নমানের খেজুরে ব্যবসায়ীদের শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে ৬৪ টাকা ৪১ পয়সা। এরপর বাজারে পৌঁছতে প্রতি কেজি খেজুরে খরচ পড়ে ১৩৮-১৪০ টাকা। পাইকারি ও খুচরায় হাত বদলে ভোক্তাকে তা কিনতে হয়েছে ২০০ টাকায়।

Leave a Reply

scroll to top