মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ধনকুবের মিত্র ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সহস্রাধিক বিক্ষোভ মিছিলের করা হয়েছে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দেশটির বোস্টন, শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসিসহ অন্যান্য রাজ্যের ১২০০ স্থানে ‘হ্যান্ডস অফ’ নামে এই সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ আয়োজনকারী একটি গোষ্ঠী, ইনডিভাইজিবল এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আজরা লেভিন বলেছেন, ট্রাম্প, মাস্ক, রিপাবলিকান সমর্থক- যারাই তাদের মাগা (মেইক আমেরিকা গ্রেইট অ্যাগেইন) পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, আজকের বিক্ষোভের মাধ্যমে তাদের সবার কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। আমাদের গণতন্ত্র, সমাজ, শিক্ষাঙ্গন, বন্ধুবান্ধব ও পাড়াপ্রতিবেশিদের জীবনে ট্রাম্প প্রশাসনের হস্তক্ষেপ আমরা চাইনা।
ম্যানহাটনের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে মিছিল যোগ দিয়ে ৪৩ বছর বয়সী নিউ ইয়র্কের চিত্রশিল্পী শাইনা কেসনার বলেন, ‘আমি খুব রেগে আছি। একদল সুবিধাভোগী, অভিযুক্ত শ্বেতাঙ্গ উন্মাদ- আমাদের দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে খুব ভালো কিছু হচ্ছে না।’
এছাড়া ওয়াশিংটনে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সমাবেত হন। তারা ন্যাশনাল মলে জড়ো হয়ে ট্রাম্পের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন।
‘ট্রাম্প প্রশাসন আমাদের সরকারকে ধ্বংস করে দিচ্ছে’- যোগ করেন তিনি।
লস অ্যাঞ্জেলেসে, ডিস্টোপিয়ান উপন্যাস “দ্য হ্যান্ডমেইডস টেল”-এর চরিত্রের পোশাক পরে এক নারী আমেরিকার পতাকা বিক্ষোভে যোগ দেন।
তিনি ট্রাম্পের গর্ভপাত বিরোধী নীতির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমার জরায়ু থেকে বেরিয়ে যাও’।
কলোরাডোর ডেনভারে, বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে এক ব্যক্তি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন রাজা নেই’ লেখা একটি প্ল্যাকার্ড ধরে দাড়িয়ে ছিলেন।
আটলান্টা শহরের একজন প্রতিবাদকারী বলেন, যা ঘটছে তা হলো ক্ষমতার অপব্যবহার। এত বড় বড় পদক্ষেপের জন্য সিনেটে শুনানি করা হচ্ছে না। জনগণ এগুলোর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি অর্থনৈতিক উন্মাদনা… ট্রাম্প আমাদের বিশ্বকে মন্দার দিকে ঠেলে দেবেন।’
আর বার্লিনে, ৭০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত সুজান ফেস্ট বলেন, ট্রাম্প একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করেছেন। আরও বলেন, ‘লোকটি পাগল।’
বিক্ষোভের বিষয়ে ট্রাম্প বা মাস্কের বক্তব্য জানতে রয়টার্সের অনুরোধে হোয়াইট হাউজ থেকে কোনও সাড়া দেওয়া হয়নি।
তবে সংশ্লিষ্ট অন্য একটি প্রসঙ্গে ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট করার উদ্দেশে একটি ইমেইল দিয়েছেন হোয়াইট হাউজের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি লিজ হিউসটন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অর্থায়ব বন্ধের অসত্য অভিযোগ তুলছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্টের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট- রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাওয়ার যোগ্য মার্কিনিদের রক্ষায় সব কর্মসূচি বহাল থাকবে। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা যেভাবে সবকিছু পরিচালনা করেছেম তাতে অবৈধ অভিবাসী থেকে শুরু করে অনেক জালিয়াত এসব সামাজিক নিরাপত্তার অর্থ লুট করেছে। ট্রাম্প সেটা বন্ধ করবেন।