দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃপ্রকাশের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য (দপ্তর সেল) শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সদ্য প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২৫ এর ফলাফল অনুযায়ী, কোটার বদৌলতে ১০০ নম্বরের মধ্যে কেবল ৪১ থেকে ৪৬ নম্বর পেয়েও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী। ফলে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও বিপুলসংখ্যক যোগ্য শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। এতে শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশেরই মেডিকেল কলেজে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে যে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, তার শুরুই হয়েছিল মূলত বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার সংস্কারের দাবি থেকে। ফলত, এই কোটাব্যবস্থার বহাল থাকা আসলে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গেই সাংঘর্ষিক; যা মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
“বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করিয়ে দিতে চায়, অজস্র শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে এই অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান-উত্তর আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের তৈরি বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার অপব্যবহারের দায়ভার কেবল তাদের ওপরেই বর্তায়।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেবল অনগ্রসর শ্রেণির ‘উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কোটা রেখে অন্যান্য সকল অযৌক্তিক কোটা বিলোপের পক্ষে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সদ্য প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃপ্রকাশেরও আহ্বান জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেলে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ নম্বর পেয়েও সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজারও শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, ভর্তি পরীক্ষায় ৪১ নম্বর থেকে ৪৬ নম্বর পেয়েও প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংরক্ষিত কোটার ম্যারপ্যাঁচের কারণে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর মেডিকেলের পড়ার সুযোগ পাননি। এর ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হতে থাকে।