মির্জা আজমের দোসর মামুন এখন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পিএস

New-Project-2025-02-19T172519.503.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ আগষ্টের পরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর-৩ আসনের সাংসদ মির্জা আজম পালিয়ে গেলেও ময়মনসিংহের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সহচর হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন রয়েছেন বহাল তবিয়তে। নতুন ভিসি আসার পরে বরং পুরষ্কার হিসেবে তাকে দেয়া হয়েছে উপাচার্যের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা’র পদ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরে চলছে সমালোচনার ঝড়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ৩য় শ্রেনীতে যোগদান করে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে ৬ষষ্ঠ গ্রেডে চাকুরি করছেন। বিগত ২১ অক্টোবর ২০১১ সালের একটি ডিও লেটার সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাইরাল হয়। জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মির্জা আজম স্বাক্ষরিত এ পত্রে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য তৎকালীন ভিসিকে চাপ দেয়া হয়।

অভিযোগ আছে, ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটির নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক কাজে লাগিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দপ্তরে প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাকিবুল হাসান রনির সাথে তার সখ্যতা ছিলো ওপেন সিক্রেট। রনির সাথে যোগসাজশ করে ক্যাম্পাসে ভর্তি ও নিয়োগ-বাণিজ্যের একাধিক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। রনি ও তার স্ত্রীকে তৎকালীন ভিসিকে ম্যানেজ করে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেন মামুন।

বিএনপি-জামায়াত পন্থী শিক্ষক কর্মকর্তাদের অভিযোগ, সরাসরি আওয়ামীলীগ সমর্থক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ভিসির পিএস হিসেবে নিয়োগ পেয়ে উপাচার্যের কাছে নির্যাতিত ও বঞ্চিতদের সুযোগ সুবিধা না দিয়ে বরং আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। উপাচার্যকে বিভিন্ন সময় শলা পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগপন্থী অফিসারদের তাদের পছন্দসই দপ্তরে পদায়ন করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মামুন গংরা বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ বৈধ অবৈধ সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। এখন তারা পল্টি নিয়ে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি বিএনপির লোক। আর ডিও লেটার এর কথা তিনি অস্বীকার করে ফোন কেটে দেন। এরপর বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মির্জা আজমের পাঠানো ডিও লেটারটির বিষয়ে প্রথমে গুজব বললেও তার ব্যাক্তিগত ফাইলেও এটি আছে জানালে উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্য ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

 

Leave a Reply

scroll to top