মাহমুদউল্লাহর ফিফটি ও অলরাউন্ডার রিশাদে বরিশালের রোমাঞ্চকর জয়

New-Project-41-3.jpg
২৪ ঘন্টা বাংলাদেশ ডেস্ক

পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। এই রুপকটি যেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জন্যই লেখা হয়ে ছিল। কি দুর্দান্ত, চমৎকার, চোখের প্রশান্তির একটা ইনিংস উপহার দিলেন মাহমুদুল্লাহ।

গতকাল(২২ জানুয়ারি) বিপিএলের ৩০তম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চেীধুরী স্টেডিয়ামে খুলনার বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে তামিম বাহিনী।তবে দলের মাত্র ১ রানেই অধিনায়ক মেহেদী মিরাজের বলে আউট হয়ে ফিরে যান খান সাহেব। পরের বলেই ডেভিড মালান কে বোল্ড করে ড্রেসিং রুমের পথ দেখান মিরাজ।দলের মাত্র ১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরে বরিশাল। মুশফিক চাপ সামলে ওঠার আগেই ব্যক্তিগত ৪ রানে রান আউট হলে বিপদ আরও বেড়ে যায় বরিশালের।

মাঠে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এক প্রান্ত থেকে তাওহীদ হৃদয় দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও তা টেকেনি বেশিক্ষণ। ৩০ বলে ৩৬ রান করে নাসুমের বলে মিরাজের হাত ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মোহাম্মদ নবীকে ১ রানে ফিরিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকেন সালমান ইরশাদ। তারপর ফাহিম আশরাফকে নিয়ে দলের ভিত্তি তৈরির চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ, তবে ব্যক্তিগত ৯ রানে ফিরে যান ফাহিম।

তখন ১৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বরিশালের সংগ্রহ মাত্র ৮৭। ক্রিজে আসেন তরুণ লেগ স্পিনার রিশাদ। তাকে নিয়েই ইনিংস মেরামতে মনযোগ দেন মাহমুদউল্লাহ। রিশাদের ১৯ বলে ৩৯ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংসে বদলে দেয় ম্যাচের পুরো চেহারা। যদিও ফিফটির দোরগোড়া পৌছে রানআউটের আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন রিশাদ। তবে বাকি কাজটা একা হাতেই সামলে নেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাক্তিগত ৪৫ বলে ৫০ রানে ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৫০ ও রিশাদের ৩৯ রানের উপর ভিত্তি করে বরিশাল পায় ১৬৭ রানের লড়াকু পুঁজি। পুরো ম্যাচ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে মাহমুদুল্লাহর রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং এর ফলেই মূলত লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল বরিশাল।

তবে শুধু লড়াই নয় তামিমের বুদ্ধিদীপ্ত ক্যাপ্টেন্সির কাছে নাঈমের লড়াকু ব্যাটিংয়েও হার এড়াতে পারে নি খুলনা। জয়ের হাসি হাসে মাহমুদুল্লাহ-তামিমদের বরিশাল।

Leave a Reply

scroll to top