প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের নজর এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। ৫ নভেম্বর সারা দিন দেশটিতে ভোটগ্রহণ চলবে। এরই মধ্যে মার্কিন নাগরিকরা ভোটকেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছে।
তবে এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প নাকি কমলা হ্যারিস? কে জয়ী হতে পারেন তা নিয়ে চলছে বিশ্বজুড়ে আলোচনা। তবে আগে থেকেই বিভিন্ন জরিপে বলা হচ্ছে এবারে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে|
কিন্তু তারচেয়েও বড় প্রশ্ন হল নির্বাচন যদি ড্র হয়, তাহলে কী হবে? যদিও এমন সম্ভাবনা খুবই কম, তবে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এমনকি খোদ মার্কিনিরাও বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে।
আমেরিকার নির্বাচনী ব্যবস্থায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কিন নাগরিকরা সরাসরি ভোট দেন না। তারা ভোট দেন পরোক্ষভাবে। মার্কিন মুলুকে ৫৩৮ সদস্যের ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ রয়েছে। প্রতিটি রাজ্য কংগ্রেসে তাদের প্রতিনিধিত্ব অনুযায়ী ‘ইলেক্টর’ পায়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ম্যাজিক ফিগার হল ২৭০। এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিস, দু’জনেই যদি ২৭০-এর গণ্ডী টপকাতে না পারেন, তাহলে মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস। এ অবস্থায় নবনির্বাচিত হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। সেনেট মনোনীত করবে পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্টকে।
তবে এ ক্ষেত্রে সিনেটের গুরুত্ব খানিকটা হলেও বেশি। বিভিন্ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট-সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে জয়ী প্রার্থীদের নিয়োগপত্র সুপ্রিম কোর্ট পেশ করে সিনেটই। তাই হাউস ও সিনেটের ভোট সাধারণ নির্বাচনের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।