মাদক বিক্রির অভিযোগে জাবি কর্মচারীর ভাইকে পুলিশে দিল প্রশাসন

New-Project-4-1.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক কর্মচারীর ভাইকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আটক ব্যক্তির নাম টিয়া বাবু। তিনি সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের রাঙামাটি এলাকার বাসিন্দা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ল্যাব সহকারী মো. মাহফুজের ভাই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে এলাকায় মাদকবিরোধী প্রচার চালাচ্ছিলেন কিছু যুবক। মঙ্গলবার রাতে মাদক বিক্রির সময় মিজান নামের এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন নাহিদ নামের এক যুবক। ধরা পড়ার পর মিজান ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান। পরে মিজান ও তাঁর দুই ভাই—টিয়া বাবু এবং মাহফুজ মিলে নাহিদকে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে নাহিদকে উদ্ধার করেন।

মারধরের শিকার খালেদ হাসান ওরফে নাহিদ বলেন, ‘মাদকবিরোধী প্রচার চালানো এবং মিজানকে হাতেনাতে ধরার কারণে তাঁরা আমাকে মারধর করেন। এলাকাবাসী না এলে তাঁরা আমাকে মেরে ফেলত।।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাশিদুল আলম বলেন, ‘মারধরের খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে জানতে পারি, মাদকের প্রতিবাদ করায় একজনকে মারধর করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং অভিযুক্ত টিয়া বাবুকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীও জড়িত বলে জানতে পেরেছি। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এলাকায় মাদক ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দেওয়া হয় বা শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়। আমরা চাই প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিক।”

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের হাতে একজনকে তুলে দিয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

scroll to top