তাবলীগ, কওমি মাদরাসা ও দ্বীন রক্ষার লক্ষ্যে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিতে সকাল থেকেই লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে। এরইমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সমাগমে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল ঐতিহাসিক এ উদ্যানটি।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে স্বঘোষিত আমির সাদ ও তার অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। আমরা কোনোভাবেই সেটি হতে দেব না। তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে আমরা ব্যর্থ করে দেব।
এই সমাবেশ থেকে নয় দফা ঘোষণায় করা হয়, তাবলিগ নিয়ে বিচ্ছিন্ন মহলের সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আলেমদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শাপলা চত্বরের গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। ২০১৮ সালে টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে সাদপন্থীদের নৃশংস আক্রমণের বিচার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মাওলানা সাদকে এদেশে আসতে দেওয়া হবে না। আলেমপন্থীদের বিশ্ব ইজতেমাই সরকারঘোষিত দুই পর্বে করতে দিতে হবে। কাকরাইল মসজিদ আজ থেকে কেবলমাত্র শুরায়ি নেজামের অধীনে পরিচালিত হবে এবং অভিশপ্ত কাদিয়ানিদের অবিলম্বে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
দুপুরের পর মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে মহাসম্মেলন শেষ করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। এর আগে সকাল নয়টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন ঘিরে ভোর থেকেই লাখো আলেম-ওলামার জমায়েত হতে থাকেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়।