‘মবের মধ্যে ঢুকে মারামারি থামানোর কথা বলতে হেডম লাগে’

New-Project-98-1.jpg
২৪ ঘন্টা বাংলাদেশ ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় গতরাতে উত্তাল ছিল রাজধানী। দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলা অবস্থায় সংঘর্ষস্থলে হাজির হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার চেষ্টা করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন তিনি। এই নিয়ো শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা। এবার এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টে সারজিস বলেন, ‘মবের মধ্যে ঢুকে মারামারি থামানোর কথা বলতে হেডম লাগে।’

রোববার রাতে ঢাবির উত্তাল পরিস্থিতিতে সংঘর্ষ থামাতে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর একাই সেখানে যাওয়ার প্রশংসা করে সারজিস বলেন, ‘আশেপাশে এমন বহুত শত্রু আছে যারা সুযোগ পেলে খুন করে ফেলবে, এইটা জানার পরেও মবের মধ্যে ঢুকে মারামারি থামানোর কথা বলতে হেডম লাগে। অন্য কেউ এই সাহস করে নাই। সাহস করেছে Hasnat Abdullah । সাহসটা করার জন্যে হাসনাতকে মাথায় তুলে ফেলতে হবে সেটা বলছি না, তবে ন্যূনতম এপ্রিশিয়েটটা অন্তত করতে শিখেন। হয়তো ফলাফল প্রত্যাশিত হয়নি কিন্তু এর চেয়েও খারাপ কিছু হতে পারতো ৷ সবচেয়ে বড় কথা উদ্দেশ্য সৎ ছিল।’

জুলাই আন্দোলনে হাসনাতের অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সারজিস বলেন, ‘এই ছেলেটার সমস্যা হলো এর মাথা গরম আর সবসময় গ্রেটার পার্পেপেক্টিভ চিন্তা করে। কিন্তু সত্যি এটাই যে, মাথা গরম বলেই সেই জুলাইয়ে ভিসি চত্ত্বরে গায়েবানা জানাজা শেষে যখন সবাই পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড আর ছোররা বুলেটে দিকবিদিক ছুটে যাচ্ছিলো তখন এই ছেলেটা সর্বপ্রথম স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ওই পুলিশের দিকে দুই হাত প্রশস্ত করে এগিয়ে যায় আর বলে “we are open to killed” ! ঠিক যেমনিভাবে গতকাল গিয়েছিলো ৷ এই ছেলেটাই সেই জুলাইয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে রাজাকার রাজাকার মিছিলের সামনের সারিতে মাঝখানে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো, যখন অনেকেই নিজেকে সেফ জোনে রেখেছিলো৷ এই ছেলেটাই সর্বপ্রথম এবং একা সচিবালয়ে আনসারলীগের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে এবং পরবর্তীতে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় সচিবালয় অনেকটা সুরক্ষিত হয়ে উঠে।’

যেকোন পরিস্থিতি তারা সব সময় প্রস্তুত দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই মাথা গরম ক্ষ্যাপা ছেলেটার দোষ হচ্ছে যখনই কোথাও অস্থিতিশীল অবস্থা দেখা দেয়, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায় তখনই এ কোনো কিছু চিন্তা না করে সমাধানের জন্য ছুটে যায়। হোক সেটা ক্যাম্পাস, রাজপথ কিংবা অন্য কোথাও ৷’

যারা হাসানাতের সমালোচনা করছেন তাদের উল্লেখ করে সারজিস লিখেছেন, ‘আপনারা যারা শুধু ঘরে বসে স্যোশাল মিডিয়ার ঝড় তুলতে পারেন তাদের মতো সেইফ গেম প্লে না করতে পারাটা হাসনাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা ৷ কিন্তু তিক্ত সত্য এটাই যে, এই মাথা গরম স্বভাবওয়ালা ক্ষ্যাপা তরুণ প্রজন্মের কারনেই এই নতুন বাংলাদেশ ৷ কতজনের এখন কতরকম স্বার্থ আর ধান্ধা সেটা আমরা বুঝি, অপ্রত্যাশিত কিছু হলে এরা যে আবার গর্তে যাবে সেটাও জানি ৷ কিন্তু দিনশেষে চোখের সামনে রক্ত আর হাজারো জীবনের বিনিময়ে অর্জিত নতুন স্বাধীনতা রক্ষা করতে হাসনাতরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ৷ আপনাদের মতো গুটিকয়েক ভন্ড, সুবিধাবাজ, কালপ্রিট কি বললো আর কি বিহেভ করলো তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না ৷ হাসিনার পোষারা এর চেয়ে কম বলেনি বা করেনি। মিনিমাম কমনসেন্স থাকলে বোঝা উচিত কারা করসে, কেন করসে। রকেট সাইন্স না বোঝাটা। We are Hasnat & proud to be a fellow-fighter of Hasnat ‘

Leave a Reply

scroll to top