নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ থেকে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রার। প্রায় তিন দশক ধরে আয়োজিত হয়ে আসছে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। নববর্ষ উপলক্ষে এবারও শোভাযাত্রা বের হবে চারুকলা থেকে তবে ভিন্ন নামে। এবার পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠিত এই শোভাযাত্রার নাম হবে ‘বৈশাখ শোভাযাত্রা’।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিতে কয়েকদিন অপেক্ষা করবে তবে তারা জানিয়েছে, আগামী ২৩-২৪ মার্চের মধ্যে এবারের শোভাযাত্রার বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আজহারুল ইসলাম চঞ্চল গণমাধ্যমকে জানান, “আজ থেকে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আমাদের কর্মশালা শুরু হয়েছে এবং আমরা পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়গুলো ২৩-২৪ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।”
পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য সরা, জলরং, মুখোশ এবং অন্যান্য প্রস্তুতি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে চারুকলা অনুষদ। বুধবার দুপুরে বরেণ্য শিল্পী প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার চিত্রাঙ্কন করে কর্মশালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বাঙালির বর্ষবরণের ইতিহাস পুরনো হলেও চারুকলা থেকে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা তত পুরনো নয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালের পহেলা বৈশাখে যশোরে, তখন দেশে সামরিক শাসন ছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল লোকজ সংস্কৃতি উপস্থাপনের মাধ্যমে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং অশুভের বিনাশ কামনায় শুভশক্তির আগমনের প্রার্থনা। এর উদ্যোগ নিয়েছিলেন চারুশিল্পী মাহবুব জামাল শামিম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সাল থেকে। তবে তখন এর প্রথম নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। পরে ১৯৯৬ সাল থেকে এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ হিসেবে উদযাপন শুরু হয়।