ভারতে হিন্দু-মুসলিম সহিংসতায় আহত ৯, কারফিউ জারি

New-Project-2025-03-18T154301.058.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে হিন্দু ও মুসলিমদের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ, দোকান ও গাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয়েছে কারফিউ।

বিবিসি বাংলা জানায়, সংঘর্ষের সময় পুলিশের দিকেও ব্যাপক পাথর ছোড়া হয়। প্রাথমিকভাবে ছয় জন বেসামরিক নাগরিক ও তিনজন পুলিশ অফিসার আহত হন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এরপরে কোতোয়ালি আর গণেশপেঠ এলাকাতেও সংঘর্ষ ছড়ায়। হাজার খানেক মানুষ ব্যাপকভাবে পাথর ছোড়া, ভাঙচুর চালায়। দোকানপাট আর গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোর পর্যন্ত পুলিশ নানা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছিল।

জানা যায়, সোমবার দুপুরে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কবর সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল নাগপুরের মহাল এলাকায় একটি বিক্ষোভ জমায়েত করে। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ওই বিক্ষোভ চলাকালে কোরআন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়, যাতে মুসলমান সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায়। এরই মধ্যে কিছু লোক মব সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন বাড়িতে ও দোকানপাটে পাথর ছুড়তে শুরু করে। ফলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সহিংসতা ব্যাপক আকার ধারণ করায় নাগপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নাগপুর শহরের মহাল এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের দিকেও ব্যাপক পাথর ছোড়া হয়। প্রাথমিকভাবে ছয় জন বেসামরিক নাগরিক ও তিনজন পুলিশ অফিসার আহত হন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।

খবরে বলা হয়, পরে রাতে কোতোয়ালি আর গণেশপেঠ এলাকাতেও সংঘর্ষ ছড়ায়। হাজার খানেক মানুষ ব্যাপকভাবে পাথর ছোড়া ও ভাঙচুর চালায়। দোকানপাট আর গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার প্রায় ভোররাত পর্যন্ত পুলিশ নানা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে ২০ জনকে আটক করে। সহিংসতা থামাতে পুলিশ এখনো কাজ করছে বলে জানা গেছে।

নাগপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অর্চিত চন্দক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, কোরআন পোড়ানোসংক্রান্ত একটি অভিযোগও পুলিশের কাছে দায়ের করা হয়। তবে এটি একটি গুজব। কিছু ভুল তথ্যের ফলেই এই ঘটনা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

পুলিশ নাগরিকদের প্রতি বিনীতভাবে আবেদন জানিয়েছে যাতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে না বের হন।

Leave a Reply

scroll to top