ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সম্প্রতি ক্যাম্পাসের একটি ভবনে ফিলিস্তিনের সমর্থনে জাতীয় পতাকা টাঙ্গান। তবে পরে কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই পতাকাটি অপসারণ করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো এ ঘটনার ব্যাখ্যা বা বিবৃতি দেয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক পর্যায় ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে এই পদক্ষেপ নেন। তারা ক্যাম্পাসের একটি ভবনে ফিলিস্তিনের পতাকা স্থাপন করেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে পতাকাটি অপসারণ করা হয়। অপসারণের পেছনে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা রয়েছে কি না বা এর সুনির্দিষ্ট কারণ কী—তা এখনো অস্পষ্ট।
এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা এই ঘটনাকে “অনুচিত” ও “অস্বচ্ছ” বলে মনে করছেন। এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে সংহতি প্রকাশের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পতাকা অপসারণের মাধ্যমে আমাদের ভাব প্রকাশের অধিকার খর্ব করা হয়েছে।” তবে কোনো শিক্ষার্থীই আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা বিষয়টি নিয়ে এখনো বিস্তারিত মন্তব্য এড়িয়ে যাচ্ছেন।
গত কয়েক মাসে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসমাজের নানা উদ্যোগ দেখা গেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনায় সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পাসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও প্রশাসনিক নীতির মধ্যে সমন্বয় নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত তথ্য ও প্রেক্ষাপট জানতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র: ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট কমিউনিটি