ব্যবসায়ীদের মজুতদারি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

New-Project-29.jpg

ব্যবসায়ীদের মজুতদারি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

শুরুতে বলে রাখতে চাই, এবারের রোজায় কিন্তু গত কয়েক বছরের চাইতে কিছু পণ্যের মূল্য তুলনামূলক কম। যেমন ধরুন গত বছর এই সময় পিঁয়াজের কেজি ছিল মান ভেদে ১২০ টাকা থেকে শুরু করে ১৬০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এ বছর এক কেজি পিঁয়াজের মূল্য মান ভেদে ৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। অর্থাৎ কেজি প্রতি অনেক কম মূল্যে পিঁয়াজ খেতে পারছেন ভোক্তারা।

প্রায় একই অবস্থা ডিমের মূল্যের ক্ষেত্রেও। গত রোজায় একডজন ডিমের মূল্য ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত, কিন্তু এবারের রোজায় এক ডজন ডিমের খুচরা মূল্য ১২৫ টাকা। গোল আলুর ক্ষেত্রেও মূল্য কমেছে যথেষ্ট। দীর্ঘ কয়েক বছর গোল আলুর মূল্য ছিলো কেজি ২০ টাকার মধ্যে, কিন্তু গত দুই বছর ধরে গোল আলুর কেজি মূল্য বেড়ে সর্বোচ্চ ৭০ টাকায় গড়ায়। কিন্তু এবার কিন্তু মূল্য কমেছে এবং স্থিতিশীলতাও রয়েছে। নতুন আলু ওঠার পর আলুর কেজি মূল্য ১৫ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে। রোজা এলে আলুর ব্যবহার বাড়লেও মূল্য বাড়েনি। রোজার আগে মূল্য যেমন ছিলো রোজায়ও একই মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে আলু। এখন বাজারে আলুর মূল্য মান ভেদে কেজি ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা। রোজায় বেগুনে দিয়ে বেগুনি বানানো হয়, যা ইফতারিতে একটি কমন আইটেম, এবার সেই রোজা শুরু হওয়ার পর বেগুনের মূল্য বেড়েছে। এক মাস আগে বেগুনের মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ৬০ টাকা কেজি, রোজা শুরু হওয়ার পর সেই বেগুনের মূল্য ৮০ থেকে ১০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে বেগুনের এই মূল্য গত বছরের চাইতে কম। গত বছর রোজায় বেগুনের মূ্ল্য ১৫০ টাকা ছিল।

এসব পণ্য রোজার কমন পণ্য। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় হচ্ছে, সয়াবিন তেলের তেলেসমাতি নিয়ে। রোজা শুরুর অন্তত দু’সপ্তাহ আগে মজুতদাররা সয়াবিন তেল কিনে দোকানে না দিয়ে মজুত করে রাখেন। ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। যা একটি অপরাধ। সরকারের তরফ থেকে অভিযানও পরিচালনা করা হয়, কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সব স্থানে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রোজা শুরু হলেও অনেক দোকানে সয়াবিন তেলের সংকট দৃশ্যমান হয়েছে।

একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে খবর দেখলাম ‘রোজা উপলক্ষে আমিরাতে অন্তত ১০ হাজার পণ্য ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়ে বিক্রি করছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।’ কিন্তু বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই মানসিকতা গড়ে ওঠেনি, বরং মূল্য বাড়ানোর হিড়িক পড়ে যায় রোজা সংশ্লিষ্ট পণ্য এবং ঈদ মার্কেটগুলোতে। আমাদের উচিত এই অপকর্ম থেকে বের হয়ে আসা। এতে অপরাধ থেকে বেঁচে থাকা যাবে এবং ভোক্তারাও বিপদ থেকে বাঁচবেন।

Leave a Reply

scroll to top