বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই

New-Project-2025-03-12T115110.974.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী মারা গেছেন। আজ বুধবার (১২ মার্চ) সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তার পাশে ছিলেন দুই সন্তান।

তার এক আত্মীয় সৈয়দ আলমাস কবীর  টিবিএসকে বলেন, ‘বার্ধক্যজনিত কারণে জনাব এলাহীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে এসেছিল। প্রথমে ফুসফুসের সংক্রমণ কাটিয়ে উঠলেও, পরবর্তীতে পাকস্থলীর সংক্রমণ হয়।’

মরহুমের ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর সিঙ্গাপুর থেকে টেলিফোনে গণমাধ্যমকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর জানান, মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ও তাঁর বোন বাবার শয্যার পাশে ছিলেন। আজই বাবার মরদেহ দেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তাঁরা।

মঞ্জুর এলাহী ১৯৪২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি  কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন ,সেখানেই তিনি সেন্ট জাভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষ করেন।

১৯৭২ সালে মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ নামে কোম্পানি করে কমিশনের ভিত্তিতে চামড়া বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। চার বছর পর ১৯৭৬ সালে ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাপেক্স ট্যানারি। তারও ১৪ বছর পর যাত্রা শুরু করা অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার এখন দেশের শীর্ষ জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে চামড়ার ব্যবসায় যুক্ত  হন তিনি। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ছিলেন চামড়া খাতের একজন সফল ব্যবসায়ী। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে উৎপাদিত চামড়ার জুতো বিদেশযাত্রা (রপ্তানি) শুরু। রপ্তানির পাশাপাশি দেশের জুতার বাজারেও অন্যতম শীর্ষস্থানে আছে তাঁর প্রতিষ্ঠান অ্যাপেক্স।

বাণিজ্য ও শিল্পক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স (এএমসিএইচএএম), বাংলাদেশ থেকে ২০০০ সালে “বিজনেস এক্সিকিউটিভ অব দ্য ইয়ার” এবং ২০০২ সালে “বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার” পুরস্কার।

সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৯৬ সালে যোগাযোগ, নৌপরিবহণ, বেসামরিক বিমান চলাচল; পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০০১ সালে কৃষি, নৌপরিবহণ, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

 

Leave a Reply

scroll to top