রাজশাহীতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা।
হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী ও রংপুরের চাষিরা। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া এলাকায় কৃষকরা এই বিক্ষোভ করেন। একই দিন দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন । এ সময় তাঁরা দ্রুত বাড়তি ভাড়া কমানোর দাবি জানান।
কৃষকরা জানান, প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারগুলোকে চার টাকা ভাড়া দিতে হতো। এবার তা বাড়িয়ে আট টাকা করা হয়েছে। ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। হিমাগারে ভাড়া না কমালে এবার তাঁরা প্রয়োজনে আলু ফেলে দেবেন, কিন্তু হিমাগারে রাখবেন না বলেও জানান চাষিরা।
সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। তিনি বলেন, ‘হিমাগার মালিকরা সিন্ডিকেট করে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বাড়িয়েছেন। এ ভাড়া কার্যকর হলে বাজারে আলুর দাম বাড়বে।এটি হতে দেওয়া হবে না। হিমাগার মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে।’
আগের বছরগুলোতে আলু সংরক্ষণ করা হতো বস্তা হিসেবে। হিমাগার মালিকরা বলছেন, ৫০ কেজির বস্তার জন্য আগে ৩৪০ টাকা নেওয়া হতো। ভাড়া পড়ত ছয় টাকা ৮০ পয়সা করে। কিন্তু ফড়িয়ারা বস্তায় এত বেশি আলু দিতেন যে ভাড়া পড়ত চার টাকা। অথচ বস্তায় ৫০ কেজির বেশি আলু না ঢোকানোর জন্য সরকারের নির্দেশনাও আছে। তা প্রতিপালন না করায় বাধ্য হয়েই তাঁরা কেজি হিসেবে আট টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বলেন, ‘ভাড়া কেন্দ্রীয়ভাবেই নির্ধারণ করা হয়। এবারও সেটাই হয়েছে। ৫০ কেজির বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আমরা এবার কেজি হিসাবে গিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো হয় এ ব্যাপারে সরকার হস্তক্ষেপ করলে। সব কিছু পর্যালোচনা করে সরকার সবার জন্য একটা যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেই ভালো হয়। সরকারি নির্দেশনা আমরা মেনে নেব।’
আলু চাষি সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে স্টোর মালিক, আলু চাষি এবং জেলা প্রশাসনের একটি যৌথসভা আয়োজনের আহবান জানানো হয়।