বায়ার্ন–মিলানদের চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় যেতে যা করতে হবে

New-Project-2025-02-18T142639.376.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ রাতে শেষ ষোলো সামনে রেখে ৮টি দল ৪টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে একে অপরের। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় যাওয়ার লক্ষ্যে এখন লড়াই করছে ১৬টি দল। প্রথম লেগের পর এই লড়াইয়ে কেউ কেউ এগিয়ে গেছে। তবে এগিয়ে থাকাটাই শেষ কথা নয়। দ্বিতীয় লেগে বদলে যেতে পারে গুটির চাল।

যে আট দল আজ শেষ ষোলোয় যাওয়ার লড়াইয়ে নামছে, তাদের মাঝে বায়ার্ন মিউনিখ ও এসি মিলানের মতো সাবেক চ্যাম্পিয়নরাও আছে। তবে সাবেক চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা কোনোভাবেই পরবর্তী পর্বে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে না। মাঠে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেই জায়গা করে নিতে হবে সেরা ১৬ দলের মধ্যে। এখন এমন পরিস্থিতিতে আজ রাতে মাঠে নামতে যাওয়া দলগুলোর কার কি করতে হবে, একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

এসি মিলান ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা দল। যদিও ইউরোপ সেরা হওয়া মিলানের সেই স্মৃতিতে জমেছে ধুলার আস্তরণ। ২০০৭ সালের পর আর কখনো ফাইনালেও ওঠেনি তারা। এবারও শঙ্কা আছে আগেভাগে বিদায় নেওয়ার। শেষ ষোলোয় যাওয়ার লড়াইয়ে প্লে-অফের প্রথম লেগে ফেইনুর্ডের কাছে মিলান হেরেছে ১-০ গোলে। সেই হারে অবশ্য মিলানের সব শেষ হয়ে যায়নি।

সেদিন প্রতিপক্ষের মাঠ হারলেও, আজ মিলান খেলবে নিজেদের মাঠে। ঘরের মাঠে নিজেদের পরিচিত পরিবেশে মিলানের প্রয়োজন ২ গোলের ব্যবধানে একটি জয়। তবে ১-০ গোলে জিতলেও টাইব্রেকারে সুযোগ থাকবে তাদের। বিপরীতে ফেইনুর্ডের কাজটা অবশ্য বেশ সহজ। পরবর্তী পর্বে যেতে মিলানকে জিততে না দেওয়াই তাদের জন্য যথেষ্ট। কোনোভাবে ম্যাচ সমতা শেষ করতে পারলেই মিলানকে পেছনে ফেলে পরের পর্বে যাবে তারাই।

প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগে পাওয়া ২-১ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় এক পা দিয়ে রেখেছে বায়ার্ন। শেষ ষোলোয় যেতে ঘরের মাঠে হার এড়ানোয় বায়ার্নের জন্য যথেষ্ট। এমনকি ১-০ গোলের হারও লড়াইয়ে রাখবে বায়ার্নকে। সে ক্ষেত্রে অবশ্য টাইব্রেকারের বাধা পেরোতে হবে তাদের।

অন্যদিকে সেল্টিকের কাজটা কঠিন। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ন্যূনতম ২ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে তাদের। বায়ার্নের মাঠে কাজটা অসম্ভব না হলেও বেশ কঠিন। তবে শেষ পর্যন্ত এই লক্ষ্যে সেল্টিক যদি সফল হয়, তবে সেটি অসাধারণ একটি মুহূর্তই হবে দলটির জন্য।

Leave a Reply

scroll to top