বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সুপার পাওয়ার?

New-Project-2025-02-22T125415.182.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে, দেশটির ভূগোল ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শক্তিশালী শক্তিতে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে।

বাংলাদেশের সীমান্তের তিনদিকে ভিন্ন দেশ এবং একদিকে সাগর-তবে তার ভূগোলের আসল গুরুত্ব অনেক বেশি।বাংলাদেশের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে মোট চারটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে-চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা, এবং মাতারবাড়ি বন্দর, যা দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। বিশেষ করে, চট্টগ্রাম বন্দরটি বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরের একটি।

বাংলাদেশের ভূগোলের কারণে এটি দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং চীনের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সপোর্ট হাব হতে পারে। বাংলাদেশের নদীমাত্রিক ভূগোলও এর অর্থনৈতিক উন্নতির একটি বড় কারণ।

প্রায় ৭০০ নদী প্রবাহিত হওয়ায় কৃষি, মৎস্য এবং পরিবহন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর সঙ্গে দেশের উর্বর মাটি এবং সমৃদ্ধ জলজ সম্পদ হাজার হাজার মানুষের জীবিকা নির্বাহের উৎস।সুপার পাওয়ার সফলের জন্য দরকার সঠিক নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল কিছু দিন ধরে অনলাইনে ও অফলাইনে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছেবিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন “সুন্দরবন” বাংলাদেশের অংশ। এটি শুধু পরিবেশগত নয়, অর্থনীতির ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে দেশের অর্থনীতি ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে।

আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ জনশক্তি রয়েছে। দেশের শ্রমশক্তির রপ্তানি বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির সাথে সংযুক্ত হয়ে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করছে। বাংলাদেশ বর্তমানে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ, যেখানে চীন প্রথম স্থানে রয়েছে।

প্রতিবেশী বাংলাদেশের যে একটা স্ট্র্যাটেজিক লিভারেজ বা কৌশলগত সুবিধা আদায়ের পরিসর আছে, সে বিষয়ে পর্যবেক্ষকরা প্রায় সবাই একমত। কিন্তু এতদিন এই সেভেন সিস্টার্স প্রশ্নে ভারতকে একতরফা সুবিধা দিয়ে আসছিল শেখ হাসিনা সরকার। শেখ হাসিনার পতনের পর বদলে গেছে চিত্র। সেভেন সিস্টার্স নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশ তার ভূগোল, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জনশক্তি দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় এক নতুন শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ভবিষ্যতে, সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগিয়ে দেশটির অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব।

Leave a Reply

scroll to top