বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

New-Project-6-11.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ২৬শে মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। মহান এই দিবস উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

তিনি বলেছেন, উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে যাত্রায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার উন্নয়নে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র উন্মুখ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রেস বিবৃতিতে মার্কো বাংলাদেশের উদ্দেশে অভিনন্দন বার্তা দেন।

মার্কো রুবিও বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই উদযাপন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এসেছে, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতিকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করছে। যা বাংলাদেশের জনগণকে তাদের জাতিগতভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নেওয়ার সুযোগ করে দেবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে যাত্রায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে। আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার উন্নয়নে আমাদের অংশীদারত্ব অব্যাহত রাখার জন্য উন্মুখ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এই বিশেষ উপলক্ষটি উদযাপন করার সময়, আমি দেশটির জনগণকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং আমাদের উভয় জাতিকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং আরও সমৃদ্ধ করার  লক্ষ্যে   একসঙ্গে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বাণীতে বৈষম্য ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

তিনি বলেন, “দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে নিয়ে যাই, বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াক এক নতুন বাংলাদেশ-মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এই আমার প্রত্যাশা।”

বাণীতে দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপ্রধান।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের সকল ক্ষেত্রে সাম্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তরুণ প্রজন্ম আমাদের স্বাধীনতার অপূর্ণ স্বপ্নগুলো পূরণে আবারো বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের পবিত্র কর্তব্য।

Leave a Reply

scroll to top