বরগুনায় সড়কে গাছ ফেলে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতরা ৩টি যাত্রীবাহী বাস গতিরোধ করে। পরে ইমরান পরিবহনের একটি বাস থেকে ১২-১৫ জন যাত্রীর মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাত তিনটার দিকে বরগুনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের গলাচিপা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বেতাগী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার বরগুনা-বরিশাল সড়কের গলাচিপা ও চান্দুখালী নামক এলাকার মাঝামাঝি সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া একই সময়ে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা লাবিবা পরিবহন নামে আরও একটি বাসে হামলার ঘটনা ঘটে। সড়কে গাছ ফেলে দুটি ট্রাক ও একটি পিকআপের গতিরোধ করে এ হামলা চালানো হয়। তবে এ ঘটনায় লাবিবা পরিবহনের চালক সামান্য আহত হলেও দুটি বাসে থাকা যাত্রীদের কারো কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ডাকাতির শিকার ইমরান পরিবহনের চালক মো. আয়নাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, লাবিবা পরিবহনের একটি বাস সড়কে দাঁড়ানো দেখে তার পেছনে গাড়ি থামাই। এ সময় হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আমার পাশের একটি জানালার গ্লাস ভেঙে আমার গলায় অস্ত্র ধরে কয়েকজন ডাকাত সদস্য। এ ছাড়া আমার চোখের ওপরে তারা লাইট জ্বালিয়ে রাখে, যাতে সামনে কিছু না দেখতে পাই। পরে অন্য সদস্যরা বাসের দরজার গ্লাস ভেঙে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে যাত্রীদের মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেয় তারা। তবে এ ঘটনার তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে দ্রুত বাস থেকে নেমে পালিয়ে যান ডাকাতরা।
লাবিবা পরিবহনের স্টাফ মো. শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, বরিশাল-বরগুনা সড়কের গলাচিপা ও চান্দখালী সড়কের মাঝামাঝি পৌঁছালে সড়কে দুটি পিকআপ ভ্যান ও একটি ছোট পিকআপ দাঁড়ানো দেখে আমরা গাড়ি থামাই। এ সময় হঠাৎ তিন-চারজন ডাকাত সদস্য মিলে আমাদের গাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করে বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে গাড়ি চালিয়ে পেছনের দিকে যাওয়া শুরু করলে আরও প্রায় ১৩ থেকে ১৪ জন ডাকাত সদস্যদের দেখতে পাই। একটু পরই ইমরান পরিবহনের বাসটি এসে পৌঁছালে ওই বাসে হামলা চালিয়ে বাসের ভেতরে প্রবেশ করে ডাকত সদস্যরা।
এ বিষয়ে বেতাগী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওস) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনার খবর পেয়েই সড়কে ডিউটিরত টহল পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যান। যাত্রীদের নিরাপত্তায় সড়কে পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।