রাজধানীর বনানীতে পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধের ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে ।
এতে রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সড়ক ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
সোমবার (১০ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পোশাকশ্রমিকের নাম মিনারা আক্তার। আর আহত আরেক পোশাকশ্রমিকের নাম সুমাইয়া আক্তার। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বনানী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা কাজী জাহিদুর রহমান আবির সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে সড়ক পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী ট্রাক গার্মেন্টসকর্মীদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। অন্য আরেকজন গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর গার্মেন্টসকর্মীরা বনানীর চেয়ারম্যান বাড়িতে দুই পাশের সড়ক অবরোধ করে।
এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গার্মেন্টসকর্মীরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানীতে নামার র্যাম্পও বন্ধ করে রেখেছেন। ফলে বনানীগামী যানবাহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামতে পারছে না। এতে পুরো এক্সপ্রেসওয়েতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী গোলাম ওয়াদুদ বলেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে বাসে কারওয়ান বাজারে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি। সকাল পৌনে আটটার দিকে বনানীতে যানজটে আটকা পড়েন । বাস না চলায় নেমে একঘণ্টার বেশি সময় হেঁটে তিনি কর্মস্থলে পৌঁছেছেন।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল সরোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। একজন পোশাকশ্রমিক মারা গেছেন। অন্য আরেকজন আহত হয়েছেন। আমরা দুইজনের বিষয়ে জানতে পেরেছি। কিন্তু স্থানীয় কেউ কেউ বলছেন তিনজন ছিল।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট কিছুটা কমে আসে। তবে এরপর আবার বনানীর চেয়ারম্যানবাড়িতে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে পোশাকশ্রমিকেরা সেখানে গাড়ি চলতে দিচ্ছে না।
ঢাকার রাস্তায় বাস থামানোর স্থান ও সময় নির্দিষ্ট করা, ট্রাফিক সিগনাল–ব্যবস্থা সংস্কার করা ইত্যাদি পদক্ষেপ যানজট নিরসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।
এ কারণেই জনবহুল ঢাকায় যানজট কমাতে হলে পরিবহনব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজাতে হবে যেন যাত্রীরা ব্যক্তিগত ও ছোট যানবাহনের চেয়ে বাসে যাতায়াত করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
রাস্তার ফুটপাতের দোকানপাট বসায় যানজটের তীব্রতা আরো বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারন।