চারুকলায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার দানবীয় প্রতিকৃতি পুড়িয়ে দেয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি স্বাক্ষরিত এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে নতুন বর্ষকে বরণ করে নিবে এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে এবারের শোভাযাত্রা অন্যান্য বছরের তুলনায় ভিন্ন। আওয়ামী-ফ্যাসিস্ট কালচারে কুক্ষিগত থাকা বর্ষবরণ এবার ফ্যাসিবাদ-বিরুদ্ধ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতিপালিত হবে। জুলাই গণঅভ্যুথানের সফলতা এবং স্বৈরাচারের পতনের পর নতুন বাংলাদেশের নতুন বছরে স্বৈরাচারের চিহ্নকে মানুষের সামনে আরো একবার পরিচিত করে দিতে এবং জুলাইয়ের শক্তিকে ধারণ করতে শোভাযাত্রার বিভিন্ন চিত্র, ভাস্কর্য, স্লোগান, দেওয়ালচিত্র এবং মোটিফ স্বৈরাচারের দোসরদের চিত্রায়িত করা ছিল জনগণের অন্যতম প্রধান চাওয়া।
তারই প্রেক্ষিতে চারুকলায় নির্মিত হচ্ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনার দৈত্যাকৃতির মুখাবয়ব। এই মুখাবয়ব স্বৈরাচার এবং তার সকল কর্মকান্ডকে নির্দেশ করে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এখনো দেশে স্বৈরাচারের দোসরেরা সক্রিয় রয়েছে। তাদের সক্রিয়তার নিদর্শন হিসেবে আমরা দেখতে পাই, গতরাতে চারুকলায় নির্মানাধীন হাসিনার মুখাবয়বটি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। যার মাধ্যমে তারা ফ্যাসিস্টের সকল কুকীর্তিকে মুছে দিতে চায়। এছাড়াও বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা পূর্বের ন্যায় আওয়ামী-ফ্যাসিস্ট কালচারের কাছে কুক্ষিগত রাখতে তারা সচেষ্ট রয়েছে।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ঢাবি শাখার আহবায়ক এবং সদস্য সচিব আহ্বান জানান এবারের আনন্দ শোভাযাত্রার থিমের আলোকে তৈরিকৃত ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতিতে অগ্নিসংযোগ করে যারা নতুন বাংলাদেশে বর্ষবরণের সুন্দর আয়োজনকে নস্যাৎ করার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, অতিসত্বর তদন্তের মাধ্যমে দুষ্কৃতকারী সেই ফ্যাসিস্টের দোষরদের আইনের আওতায় আনতে হবে, একই সাথে ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুনর্নির্মাণ করে এবারের আনন্দ শোভাযাত্রাকে সাফল্যমণ্ডিত করার দাবি জানান।
রাতের অন্ধকারে যারা হাসিনার মুখাবয়ক পুড়িয়ে তার সকল অনৈতিক কর্মকান্ডকে আড়াল করতে চায়, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরাপত্তার বিষয়ে দায়িত্বহীনতারও প্রতিবাদ জানায়। চারুকলা অনুষদসহ ক্যাম্পাসের সর্বত্র স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরো সচেষ্ট থাকার দাবি জানায় ।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোরে অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার দানবীয় মোটিফটি। এই মুহূর্তে পুরো দেশে এটি নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।