ফুল সজ্জিত গাড়িতে স্কুল শিক্ষকের রাজকীয় বিদায়

New-Project-2025-02-27T143241.959.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। একজন শিক্ষার্থী প্রকৃত মানুষ রূপে গড়ে ওঠার পেছনে বাবা-মা’র যেমন অবদান থাকে , শিক্ষকেরও তেমন থাকে বৃহৎ ভূমিকা।

লক্ষ্মীপুরে  শিক্ষকতা জীবন শেষে ফুলে সজ্জিত গাড়িতে চড়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে অবসরে গেলেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কে এস পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ইছামাঈল হোসেন পাটোয়ারী।

এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন ৩৫ বছরের কর্মজীবন শেষ করা স্কুল শিক্ষক ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী। এর আগে তাকে ঘিরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রিয় শিক্ষকের বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দিয়েছেন রাজকীয় সংবর্ধনা।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে কে এস পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে ফুলসজ্জিত গাড়িতে করে শিক্ষকের বাসায় পৌঁছে দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কমকর্তা তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মাঈন উদ্দিন।এ ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিদায়ী শিক্ষককে বিভিন্ন উপহার প্রদান করেন বিদ্যালয়টির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।

বিদ্যালয় সূত্রমতে, ১৯৯০ সালে তিনি কাফিলাতলি সাগরদী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন।

আবেগাপ্লূত হয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্যারের গুন বলে শেষ করতে পারবো না। স্যারকে আমরা খুব মিস করবো। উনার ক্লাস করলে আমাদের বাসা গিয়ে পড়তে হতো না। উনি সুন্দরভাবে আমাদের ক্লাসে বুঝিয়ে পড়াতেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উনি আমার নিজেরও শিক্ষক। আমিও একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছিলাম। আমরা চেষ্টা করেছি ইছমাঈল স্যারকে সুন্দরভাবে বিদায় দেওয়ার জন্য।

বিদায়বেলায় সিনিয়র শিক্ষক ইছমাঈল অশ্রুসিক্ত নয়নে সহকর্মী শিক্ষকদের সাথে কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে বিদায় নিয়ে স্কুল ত্যাগ করেন।

মুসলিম সমাজে শিক্ষককে শুধুমাত্র জ্ঞানের ধারক হিসেবে নয়, বরং একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে সম্মান করা হয়। যিনি মানুষকে সঠিক পথে চালিত করতে সাহায্য করেন।

শিক্ষক মানুষ চাষ করেন। যে চাষাবাদের মধ্য দিয়ে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটিয়ে নীতি-নৈতিকতা ও জীবনাদর্শের একজন শিক্ষার্থী তার ব্যক্তিগত ও কর্মময় জীবনকে মুখরিত করে। পাশাপাশি পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র তার দ্বারা উপকৃত ।

Leave a Reply

scroll to top