আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশ ও মাটির প্রতি টান থাকলে একা পালিয়ে থাকবেন না। একা থাকার দুঃখ অনেক। দেশে ফিরে আসুন, আপনাদের জন্য কাশিমপুরে ভালো ব্যবস্থা করা হবে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানবলেছেন, কথা দিচ্ছি আপনাদের খেদমতের দায়িত্ব পেলে ন্যায্য দাবিগুলো চাওয়া ছাড়াই বাস্তবায়ন করা হবে। কথা দিচ্ছি রক্তের বিনিময়ে হলেও দেশে চাঁদাবাজি বন্ধ করবো। জুলুমবাজি থাকবে না। দখলবাজিও থাকবে না। আমাদের সন্তানদের সাথে তাল মিলিয়ে বলতে চাই ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’।
আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশ ও মাটির প্রতি টান থাকলে একা পালিয়ে থাকবেন না। একা থাকার দুঃখ অনেক। দেশে ফিরে আসুন, আপনাদের জন্য কাশিমপুরে ভালো ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, কবরস্থান, মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, রোড-কালর্ভাট সবকিছু থেকে পারসেনটিসের নামে লুন্ঠন করা হয়েছে। লুন্ঠন করার পর তারা পালিয়ে গেছে। তারা এমন লুটপাট করেছে যে এখন দেশের মানুষের সামনে মুখ দেখানোর সাহস পারছে না। আমরা তাদের বলি ফিরে আসেন। আমরা আপনাদের বিচারটা দেখতে চাই। কারণ আপনারা এদেশের বিরোধীদলের দেশপ্রেমিক নেতাকর্মী, নিরীহ মানুষ আলেম ওলামাদের ধরে নিয়ে গুম করেছেন। বিচারের নামে প্রহসন করে তাদের দুনিয়া থেকে বিদায় করেছেন। আপনারা তখন বলেছেন আমরা কিছু করি নাই। আদালত সবকিছু করেছে। আমরাও আপনাদের আদালতে সোপর্দ করতে চাই। ফিরে আসেন, যদি এই দেশ এবং মাটির প্রতি ভালবাসা থাকে। জনগণ আপনাদের কাশিমপুরে ভাল করে থাকার ব্যবস্থা করবে।
তিনি বলেন, এজন্য কি আমাদের সন্তানেরা জীবন দিয়েছে? তাদের রক্তের উপর দিয়ে দখলবাজি চলবে? নিরীহ মানুষকে আসামি বানিয়ে বাণিজ্য চলবে? তাদের একটাই চাওয়া ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। আমরা ন্যায় বিচার চাই। বৈষম্য চাই না। সেই বাংলাদেশ কায়েম হয়নি বলেই আমাদের সন্তানরা আবারো স্লোগান তুলেছে ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ।’ একটা মানবিক বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না। আমরা কারো রক্তচুক্ষু পরওয়া করিনা। আমরা পরওয়া করি শুধু পরওয়ার দিগার আল্লাহতায়ালাকে। হাজার বছর বেঁচে থাকার চেয়ে একটা শ্বাস সিংহের মতো নিতে চাই। আমরা সবাইকে বলি আরেকটা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। খারাপ ফুলের গাছ কাটা পড়েছে। কিন্তু আগাছা রয়ে গেছে। এইগুলো পরিস্কার করবো ইনশা আল্লাহ।
ডা. শফিকুর রহমান একটি গ্রাফিতির গভীরতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমাদের সন্তানেরা পুরোটা আন্দোলনের সময় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। তারা বলেছে আমাদের রক্ত গরম, মাথা ঠান্ডা।
আমাদের সন্তানেরা রক্ত দিয়ে যেহেতু তৃতীয় স্বাধীনতা এনে দিয়েছে ইনশা আল্লাহ আমরা রক্ত দিয়ে সেই স্বাধীনতা রক্ষা করবো। সন্তানদের স্লোগান বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের জীবন যায় যাবে; আমাদের আন্দোলন ছাড়বো না।