পিরোজপুরের জিয়ানগরে প্রেম সংক্রান্ত ঘটনায় নাদিম (১৮) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। জিয়ানগর উপজেলার ২ নং বালিপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামে শুক্রবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (০৭ মার্চ) সকাল ৮ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নাদিম পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চরহোগলাবুনিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র। ওই তরুণ স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, নিহত নাদিম বোনের বাড়িতে পুরোপুরি সুস্থভাবেই বেড়াতে আসে। সে খুব ভদ্র স্বভাবের ছিল। তা ছাড়া ছেলেটি শারীরিক ভাবেও পুরাপুরি সুস্থ দেখেছি। তার দুলাভাই দেলোয়ার মীর শুক্রবার ভোর রাতে সেহেরী খেয়ে ভোররাত ৫ টার দিকে স্থানীয় একটি ইটের ভাটায় কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় ঘরের পাশে একটি বাকা গাছের সাথে ওড়না পেচানো অবস্থায় মাটিতে হাটু গেরে ঝুলানো অবস্থায় ছেলেটিকে দেখতে পান।
নিহতের দুলাভাই দেলোয়ার মীর বলেন, বাড়ির পাশের একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নাদিমের। রাত ১২টার সময় ওই মেয়েটির সঙ্গে মোবাইল ফোনে ঝগড়া করতে দেখেছি নাদিমকে। তারপরেও বোঝা যাচ্ছে না, সে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ঔষধ ব্যবসায়ী মো. রাসেল হোসেন জানান, শুনেছি বাড়ির পাশে একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রাতে ও ওই মেয়েটির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেছে নাদিম। বোঝা যাচ্ছে না, সে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বালিপাড়া ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য রিয়াজ বয়াতী জানান, ওই ছেলে এবং স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে আমি গ্রাম্য সালিসি করেছি। বিবাহের জন্য তাদের ২ পরিবারের সম্মতি ছিল। তবে ছেলে- মেয়ে উভয়ের বিবাহের বয়স না হওয়ায় বিবাহ দিতে পারিনি। ছেলেটি মারা যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি আত্মহত্যা করেছে। তবে সঠিক কারণ জানা নেই।
জিয়ানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত্যুর আসল রহস্য মর্গের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।