পুরুষের তুলনায় দ্বিগুণ কাজ করেও শরীরে নেই ক্লান্তি, কারন তারা সুপারওম্যান

New-Project-2025-03-08T155245.103.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ শনিবার (৮ মার্চ ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশেষ এই দিনে প্রচারে এসেছে একটি সচেতনতামূলক ওয়েব কনটেন্ট, যার কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম। ‘হোক দিনবদল’ ট্যাগলাইনে ইতিমধ্যেই কনটেন্ট দারুণ প্রশংসিত নেটদুনিয়ায়।

একটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির পক্ষ থেকে রাসেল মাহমুদের স্ক্রিপ্টে এটি নির্মাণ করেছেন সজল আহমেদ। ভিডিও কনটেন্টে ‘নারীদের নিয়ে কিছু না বলা কথা তুলে ধরেছেন অপি করিম।

তিনি বলেন, ‘সেদিন ইন্টারনেটে র‌্যানডম সার্চ করে পেলাম ঘরে-বাইরে মিলিয়ে একজন পুরুষ সপ্তাহে কাজ করে প্রায় ৭২ ঘণ্টা। আর একজন নারী প্রায় ১২৮ ঘণ্টা। পার্থক্য প্রায় ৫৬ ঘণ্টার। এটা শেয়ার করলাম কারণ আজকে আমি কিছু প্রশ্ন করব, প্রশ্ন করব আপনাকে, প্রশ্ন করব আমাকে, প্রশ্ন করব সোসাইটিকে।’

এ বিষয়ে তিনটি প্রশ্ন রেখেছেন অপি। তার কথায়, ‘প্রথম প্রশ্ন, আচ্ছা বলেন তো- নারী বললে প্রথমে কী মাথায় আসে? বা কী ধরনের ছবি চোখে ভাসে? সুপারওম্যান? ওহ ম্যান!  ছোট-বড় যেকোনো দায়িত্ব, আমাদের কাছে জাস্ট একটা সিম্পল টাস্ক্যাবল।’

যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। নারী আনে শান্তি। পুরুষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ কাজ করেও শরীরে আসে না ক্লান্তি। আসবে কেন? আমরা তো সুপারওম্যান!’

দ্বিতীয় প্রশ্ন রেখে নন্দিত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘দায়িত্বের নামে হাজারটা বোঝা আমাদের কাঁধে, সেটাকে আবার শব্দ-মাধুর্যে বলা হয়, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে!

তৃতীয় প্রশ্নে অপি বলেন, ‘আমার তৃতীয় প্রশ্ন, ক্যারিয়ার, ফ্যামিলি, রেসপন্সিবিলিটি, সাথে আবার পারফেকশন! সব মিললে তবেই আদর্শ নারী। কেন হতে হবে আমাদের এতটা এক্সট্রা অর্ডিনারি? সেই হাউজ-ওয়াইফের কোনো গুরুত্ব নেই, যে শুধু ঘরেই কাজ করে। আবার যে ওয়ার্কিং উইম্যান বাসায় এসে রাঁধে না, তাকে সবাই জাজ করে। রেজাল্ট? ওই যে সপ্তাহে প্রায় ৫৬ ঘণ্টা বেশি! তবু থাকে গিল্ট-প্রেশারে, ওই প্রেশার কখনও কমে না, শুধুই বাড়ে। সত্যি বলি মন থেকে? আমি মেয়ে বলে আমাকে সব করতে হবে না দুই হাতে, হবে না সবকিছু সামলাতে। তোমার সুপারওম্যান হতে হবে না, তুমি হও তোমার মতোন।

সবশেষে অপি বলেন, ‘এই উইম্যান্স ডে’তে স্টেরিওটাইপ ভাবনাগুলো বদলে যাক। হোক সত্যিকারের দিনবদল। হ্যাপি উইম্যান্স ডে।’

Leave a Reply

scroll to top