পিরোজপুর চেয়ারম্যান দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের পৃথক দুই মামলা দায়ের

New-Project-8-4.jpg

পিরোজপুর চেয়ারম্যান দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের পৃথক দুই মামলা দায়ের

পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান খালেক দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছেন জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১৯মার্চ) জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে দুদকের পিরোজপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।

অভিযুক্ত সালমা রহমান হ্যাপি জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং মো. মজিবুর রহমান খালেক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ.কে.এম.এ আউয়াল এর ছোট ভাই।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, সালমা রহমান হ্যাপি জেলার বিভিন্ন মৌজায় ২৮.৬৫ শতাংশ জমি, ঢাকার পল্লবীতে ৫ শতাংশ জমির মূল্যমান সহ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ও ঠিকাদারী ব্যবসায় মোট ১৬ কোটি ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৯১ টাকা আয় করেছেন যার বিপরীতে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ১৪ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩০২ টাকা। সে ক্ষেত্রে সালমা রহমানের অসৎ উপায়ে আয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৮০ লাখ ১২ হাজার ২৮৯ টাকা। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

অন্যদিকে,তার স্বামী মজিবুর রহমান খালেক জেলার বিভিন্ন মৌজায় ১৫.৪৫ একর জমি, ইটভাটা এবং এ.এগ্রো ফুড কোম্পানির নামে ভবন তৈরিসহ অনুসন্ধান নথিতে পাওয়া যায় ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ লাখ ২৯৬ টাকা,যার বিপরীতে আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৬২লাখ ৮৭ হাজার ৩৬২ টাকা। ৩ কোটি ৮৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৪ টাকা মূল্যমানের অসাধু উপায়ে অর্জিত ও জ্ঞাত আয়ের বহির্বিত সম্পদ প্রতিয়মান হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছেন জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন,পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালমা রহমান হ্যাপি ও পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান খালেক দম্পত্তির বিরুদ্ধে অর্জিত ও জ্ঞাত আয়ের উৎস সম্পদ অর্জন পূর্বক নিজ ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।তাদের উভয়ের বিরুদ্ধে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

সালমা রহমান হ্যাপি ও মজিবুর রহমান খালেক বর্তমানে আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

scroll to top