পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মো. মিজান (২১) নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ৭ আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোক্তার আলম ছয় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। এ সময় সাতজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ভাণ্ডারিয়া উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের সুলতান হাওলাদারের ছেলে মো. সালাম হাওলাদার (৫০), মোহব্বত আলী মাঝির ছেলে আলমগীর মাঝি (৫৮), আব্দুল আজীজের ছেলে আব্দুল মালেক হাওলাদার (৬৬), আব্দুল মজিদ মোল্লার ছেলে ফিরোজ মোল্লা (৫৭), আলফাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মো. আইয়ুব আলী হাওলাদার (৫৮)। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন ওসমান ফরাজি, মিল্লাত হোসেন, জাকির খলিফা, ফয়সাল, মাসুম মৃধা, মাসুদ মৃধা এবং হেমায়েত।
রায় ঘোষণার সময়ে ছালাম হাওলাদার (৫০) ও আব্দুল মালেক (৬৬) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামীদের অনুপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৩ নভেম্বর রাত ২ টায় উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠীর কাপালীরহাট বাজারে মোঃ রফিকুল ইসলামের সাইকেল পার্টস এর দোকানে ১০ থেকে ১২ জনের ডাকাত দল সাবল দিয়ে তার দোকানের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ক্যাশ বাক্সে থাকা টাকা লুটে নেয়। এসময়ে তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। ডাকাতরা পালাবার সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ওই গ্রামের আঃ ছোমেদের পুত্র মিজানের পেটে গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তৎক্ষনাৎ তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে সকাল ৬ টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দোকানের মালিক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্তে ১২জন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমানে আদালত ওই ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে বাকী ৭জনকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওয়ালিদ হাসান বাবু এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আহসানুল কবির বাদল।