পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আসছে বিশেষ আইন

New-Project-19-2.jpg

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে আসছে বিশেষ আইন

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আগামী সপ্তাহে একটি বিশেষ আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে নতুন আইন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শফিকুল আলম বলেছেন, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায় সেটা ত্বরান্বিত করার জন্য একটা বিশেষ আইন খুব শিগগিরই করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আপনারা এই আইনটা দেখবেন।

প্রেস সচিব বলেন, পাচার করা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রথম থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার তৎপর ছিল। প্রফেসর ইউনূস প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে, এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আমাদের টপ প্রায়োরিটির ভেতরে এটা থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ফোকাস ছিল, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়। সেজন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর।

শফিকুল আলম বলেন, টাকাটা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতদূর এগোল, সেটার ওপর আজ একটা বড় মিটিং হয়। মিটিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা। সেই মিটিংয়ে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রচুর ল ফার্মের সঙ্গে সরকার ও টাস্কফোর্স কথা বলছে। ল ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্ট করতে এ আইনটা সাহায্য করবে। ২০০টা ল ফার্মের সঙ্গে আমরা অলরেডি কথা বলেছি। তবে এখনো সিলেকশন হয়নি। একটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিলেকশন হবে। ৩০টার মতো ল ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্টে যাব। সেটা নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এগুলো বাংলাদেশের টাকা, যত দ্রুত সম্ভব টাকা ফেরত আনা যায়। এটার বিষয়ে প্রতি মাসে হাই পাওয়ার মিটিং হবে। ঈদের পর আরেকটা মিটিং তিনি ডেকেছেন। এখন থেকে এ বিষয়ে প্রতি মাসে মিটিং করা হবে, বলেন প্রেস সচিব।

শফিকুল আলম বলেন, যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। সেটা কতটুকু হয়েছে? আমরা যতটুকু জেনেছি, এটা আরও ডিটেইলসে জানার জন্য প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন।

বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যানের জানিয়েছেন, অনেক ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়তে যায়। একটা কেসে দেখা গেছে, ছেলের টিউশন ফি হিসেবে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। মানি লন্ডারিংটা কীভাবে হয়েছে দেখেন।

বিফ্রিংয়ে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।

 

Leave a Reply

scroll to top