আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ৪৬

New-Project-1-4.jpg
২৪ ঘন্টা বাংলাদেশ ডেস্ক

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী একটি পাকতিকা প্রদেশে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সশস্ত্র গোষ্ঠীর আস্তানা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের রাজধানী
কাবুলে অন্তর্বর্তীকালীন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সাথে পাকিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাদির দেখা করার কয়েক ঘন্টা পরেই এই বিমান হামলা করা হয়।
হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ১৮ জন ছিলেন একই পরিবারের। নিহতদের মধ্যেই অধিকাংশই নারী-শিশু। এক বছরের মধ্যে এটি দ্বিতীয় হামলার ঘটনা।

পাকিস্তারনের এহেন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তালেবান শাসিত অন্তর্বর্তী আফগান সরকার। তাদের ভাষ্য টিটিপি গোষ্ঠীর আস্তানায় হামলার কথা বলা হলেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বেসামরিক লোকদের। তার দাবি পাকিস্তানের এই বর্বরোচিত হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। পাকতিকার বারমালে বিমান হামলার পর তালেবানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। আফগান এই মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের ভূখণ্ড এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা তাদের বৈধ অধিকার। একইসঙ্গে তারা এই হামলার নিন্দা করেছে।

বরাবরই আফগান সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে আসছে পাকিস্তান, বিশেষ করে টিটিপি। গেল সপ্তাহে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সেনা কর্মীদের উপর সাম্প্রতিকতম ভয়াবহ হামলা চালায় এই সংগঠনের সদস্যরা। সেই হামলায় অন্তত ১৬ জন পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয়েছে।

যদিও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে আশ্রয় দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে আফগান সরকার তবে পাকিস্তানের দাবি আফগানিস্তানকে অভয়ারণ্য হিসেবেই ব্যবহার করছে তেহরিক-ই তালেবান। এমনকি গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক ব্রিফিংয়ে পাকিস্তান বলেছে আফগানিস্তানে টিটিপির প্রায় ছয় হাজার সদস্য রয়েছে যারা পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে। আর এই পরিস্থিতি পাকিস্তানের জন্য হুমকিস্বরুপ বলে উল্লেখ করেছে পাকিস্তানি কূটনীতিক উসমান ইকবাল জাদুন।

তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটপির সন্ত্রাসী আক্রমণ বাড়ায় এবং হাজার হাজার পাকিস্তানি সামরিক ও বেসমরিক লোকজনকে হত্যা করেছে যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটেছে। দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা না হলে সম্পর্ক আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

scroll to top