পাকিস্তানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুবাইতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবা টাইগাররা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে শুরুতেই নাড়িয়ে দিয়েছিলেন পেসার মারুফ মৃধা। ইকবাল-মারুফদের গতির ঝলকে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। দলীয় ২ রানে আউট করেন ওপেনার উসমান খানকে (০) ফেরান তিনি। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরেক ওপেনার শাহজাইব খানকেও শূন্য রানে ফেরান এ পেসার।
মাঝে অধিনায়ক সাদ বাইগ আর মোহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেট এই দুই ব্যাটারকেই আউট করেন আরেক পেসার ইকবাল হোসেন ইমন। ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান। এরপর ফারহান ইউসুফ (৩২) ছাড়া আর কোনো ব্যাটারকে দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশ। ৩৭ ওভারে সব উইকেট খুইয়ে ১১৬ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের যুবারা। ১৪ বল খেলেও কোনো রান না করেই ফিরে যান কালাম সিদ্দিকী। এরপর আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরারও ২৫ বলে ১৭ রান করে আব্দুল সোবহানের বলে ক্যাচ দেন। ২৮ রানে দুই উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের দায়িত্বশীল ফিফটিতে ফাইনালে টিকিট পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক তামিম ও শিহাব জেমস মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। সেই জুটিতেই মূলত জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইয়াং টাইগার্সের। তবে জয় থেকে ৩২ রান দূরে থাকাবস্থায় বিলাসী শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন জেমস। ৩৬ বলে তিনি ২৬ রান করেছেন। একপ্রান্ত আগলে রাখা বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম বাকি কাজ সেরেছেন অনায়াসে। ৪২ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় তিনি ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আলি রাজা, আবদুল সুবহান ও নাভিদ আহমেদ খান। শুরুতে তারা ইকোনমিক্যাল থাকলেও, তাদের ওপর মূল চাপটা ব্যাটাররাই তুলে দিয়েছেন বড় পুঁজি তুলতে ব্যর্থ হওয়ায়।