পরীমনি নায়িকা নয়, অভিনেত্রী হতে চান

New-Project-8-4.jpg
২৪ ঘন্টা বাংলাদেশ ডেস্ক

অবশেষে পূরণ হচ্ছে পরীমণির ইচ্ছা!প্রথমবারের মতো ভিনদেশে নায়িকা হিসেবে সামনে আসছেন তিনি। আগামীকাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে চলচ্চিত্র ‘ফেলু বক্সী’। দেবরাজ সিনহার পরিচালনায় এতে তার বিপরীতে আছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। ফেলুবক্সী’র মুক্তিকে সামনে রেখে নায়িকা মুখোমুখি হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একটি গণমাধ্যমের। কথা বলেছেন সিনেমা ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে।

এসেছিল প্রেমের প্রসঙ্গ। নায়িকা বললেন, ‘কী করে যে বোঝাই, আমার আর প্রেম আসে না। ওই জোন থেকে বেরিয়ে এসেছি। সবার শুভেচ্ছা পড়তে পড়তে মনে হলো- বুঝি বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও’র পুরো অংশ দিয়ে আত্মসমর্পণ করলাম। আরও একটা জিনিস উপলব্ধি করলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই যে বলে না- যার বিয়ে তার খরব নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই। আমার যেন সেই দশা। আমার প্রেম নিয়ে আমার যত না মাথাব্যথা, বাকিদের যেন বেশি! আরে আমার প্রেম, নতুন প্রেম- কোথায় আমি উত্তেজনায় ফুটব। জেগে স্বপ্ন দেখব। আনন্দে মেঘমুলকে ভাসব- তা না, তাদের দেখি কী উৎসাহ-উদ্দীপনা। আমার প্রেম হলে ওদের যে কী সমস্যা? দেখি মন-টন ভেঙে যায়। আমি কারও হব না- তাতে লোকে খুশি। একজন কারও হলেই বিশাল ব্যথা। আমি কারও নই বাবা, তোমরা খুশি থাক।’

পরীমনি আর নায়িকা নয়, অভিনেত্রী হতে চান। দুষ্টুমি করতে চান না। নতুন করে প্রেমে পড়তেও নারাজ! জীবন কি পরীকে বড় করে দিল? এমন প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, ‘বড় না, জীবন অনেক কিছু শিখিয়ে দিল। অনেক রকমভাবে চলতে শিখিয়েছে। সম্ভবত আমার এখন সেই অবস্থা যাচ্ছে। তা ছাড়া এত প্রেম করেছি, আমার মতো ফাটিয়ে প্রেম বোধহয় ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ করেনি। তাই আমার প্রেমের কোটা শেষ।’

এরপর পরীকে প্রশ্ন করা হয়, এটা পরীর বাইরের দিক, অন্তরে পরী কি খুব একা, ক্লান্ত? উত্তরে তিনি বলেন, ‘নিজেকে নিয়ে এভাবে কোনো দিন ভাবিইনি। হ্যাঁ, কখনো কখনো অবশ্যই ক্লান্ত লাগে। দিন দুই আগেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছি—আমি নামেই পরী, আমার তো পরীদের মতো জীবন নয়। আমিও বাকিদের মতো রক্ত-মাংসের মানুষ। আমারও মন খারাপ হয়, রাগ হয়, দুঃখ হয়। তবে এখন রাগ-অভিমান-মন খারাপের কোনো জায়গা জীবনে নেই। কার ওপর রাগ করব? এসব অনুভূতি সরে যাওয়ায় আমি সুখি। কারণ এই অনুভূতিগুলো মনের ওপরে ছাপ, চাপ- দুটোই ফেলে।

বিশেষ করে প্রেমে পড়লে। কারও ফোন ধরতে না পারলে বা আমার ফোন না ধরলে মন খারাপ (বলেই হাসি)! কী জ্বালা বলুন তো! এসব নেই বলেই ছেলেমেয়েদের সামলেও কাজে মন দিতে পারছি। আমার এটাই চ্যালেঞ্জ ছিল, একা হাতে সন্তান মানুষ করে পেশাজীবনেও উন্নতি করব। যাতে আমার দ্বিতীয় ইনিংস নিয়ে ওরা গর্ব করতে পারে। এই মনোযোগ যদি আরও আগে দেখাতাম, তা হলে আমার অবস্থান হয়তো আরও অন্য রকম হতো।’।

Leave a Reply

scroll to top