নোবিপ্রবিতে ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে শিক্ষার্থী হয়রানি, সংগঠনের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি

New-Project-17-2.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্রদলের সভাপতি পরিচয়ে এক শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীর শাস্তির দাবি জানিয়েছে নোবিপ্রবি ছাত্রদল। সংগঠনটি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাত্রদলের কোনো পদধারী নেতা নন, এবং সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি অপরাধ করে, তবে তার দায় ছাত্রদল নেবে না।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) নোবিপ্রবি ছাত্রদল তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে। তারা দাবি করেছে, সংগঠনটি কখনোই শিক্ষার্থী হয়রানি বা হল দখলের মতো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না।

বিবৃতিতে তারা স্পষ্ট করে জানায়— “নোবিপ্রবি ছাত্রদল শিক্ষার্থীবান্ধব ইতিবাচক ছাত্ররাজনীতিতে বিশ্বাসী। কেউ যদি ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করে, আমরা তার বিচার চাই। অভিযুক্ত ব্যক্তি আমাদের সংগঠনের কোনো পদে নেই। তার ব্যক্তিগত অপরাধের দায় ছাত্রদল নেবে না।”

নোবিপ্রবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব জিহান বলেন, “ছাত্রদল এই ধরনের কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না এবং সমর্থন করে না। সংগঠনের স্টেকহোল্ডার আমি এবং আহ্বায়ক নুর হোসেন বাবু। এর বাইরে কেউ ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রকৃতপক্ষে দোষী হয়, তবে তাকে আইনানুগভাবে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

ছাত্রদলের আহ্বায়ক নুর হোসেন বাবু জানান, “অভিযুক্ত ব্যক্তি আমাদের সংগঠনের কোনো দায়িত্বশীল পদে নেই। যদি থাকত, তাহলে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিতাম। সে ছাত্রদলের নাম ও আমার পদ ব্যবহার করে প্রতারণা ও অপরাধ করেছে, যা আমরা কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করেছি। নোবিপ্রবি ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে এবং সুস্থ ছাত্ররাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।”

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি হাসিবুল ইসলাম সজীব বলেন, “যতদিন বর্তমান কমিটি রয়েছে, ততদিন কেউ নিজেকে সভাপতি পরিচয় দিতে পারে না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব এবং সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নোবিপ্রবি ছাত্রদল এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে, যেন নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

বুধবার (১৯ মার্চ) ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের এক শিক্ষার্থী প্রভোস্ট বরাবর অভিযোগ করেন, নোবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি পরিচয় দিয়ে কেউ তাকে হয়রানি করেছে। এরপর বিষয়টি আলোচনার জন্ম দেয়। ছাত্রদল দ্রুতই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।

এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব হলো, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা। শিক্ষার্থী হয়রানি বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ রাজনৈতিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপরাধমূলক কার্যক্রম চালাতে না পারে।

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক বিচার নিশ্চিত করবে।

Leave a Reply

scroll to top