ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে রাজধানীতে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর মিছিল করেছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে মিছিলটি শুরু হয়, যার নেতৃত্বে ছিল সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
মিছিলটি পল্টন থেকে বিজয়নগরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তবে এর আগে প্রায় ১৫ মিনিট নির্বিঘ্নে মিছিলটি চলতে থাকে। পুলিশ প্রথমে বাঁশি বাজিয়ে এবং মৌখিকভাবে সতর্ক করে তাদের থামানোর চেষ্টা করলেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার পর মিছিলের কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনার সময় পুলিশ ও সেনাসদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আবারও কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর এর কর্মীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে দেখা গেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষই পল্টন ময়দানে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
এ ঘটনার আগে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, হিজবুত তাহরীর তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী “মুক্তির এক পথ, খিলাফত, খিলাফত” স্লোগানে মিছিল শুরু করে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসা হিজবুত তাহরীর গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকে অনেকটা প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালাচ্ছে। নানা দাবিতে মিছিলের পাশাপাশি ঢাকায় গোলটেবিল বৈঠকও করেছে সংগঠনটি। চট্টগ্রামেও নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
শুক্রবার, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে “মার্চ ফর খিলাফত” কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
দেশের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর হওয়ায়, তাদের এসব কার্যক্রমে বাধা দিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পল্টন মোড় থেকে বায়তুল মোকাররমের চারপাশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সতর্ক অবস্থান নেয়।