মিয়ানমারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আবারও ত্রাণ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে এই সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (বিএ) এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) তিনটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে এ সরবরাহ ও ওষুধ পাঠানো হয়েছে।
মিশনে তিনটি বাহিনীর উদ্ধার বিশেষজ্ঞ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) ডাক্তার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (বিএ) ডাক্তার এবং বেসামরিক ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত উদ্ধার ও চিকিৎসা দল রয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে ভূমিকম্পে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সহায়তার অংশ হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সামগ্রী এবং উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দল পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ সহায়তাকারী দল সেনাবাহিনীর কর্নেল মো. শামীম ইফতেখারের নেতৃত্বে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান ও জরুরি চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করবে। ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট উদ্ধারকারী দলের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২১ জন, নৌবাহিনীর দুই জন, বিমানবাহিনীর একজন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০ জন সদস্য রয়েছেন।
এছাড়াও ২১ সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসা সহায়তা দলের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ জন, নৌবাহিনীর একজন, বিমানবাহিনীর দুই জন এবং অসামরিক আট জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন।
উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানকারী দলের পাশাপাশি আজ প্রেরিত ১৫ টন ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, তাঁবু, হাইজিন প্রোডাক্ট, ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী।
এর আগে প্রথম ধাপে গত ৩০ মার্চ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুইটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে সাড়ে ১৬ টন জরুরি ত্রাণ সহায়তা মিয়ানমারে পাঠায় সরকার। সশস্ত্রবাহিনীর মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে এই ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো হয়।