দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি পক্ষ সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাড় করাতে চাইছে: জোনায়েদ সাকি

New-Project-6-10.jpg
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা দেখছি সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। এই অস্থিরতার উদ্দেশ্যে কী। আমরা প্রত্যেক পক্ষকে আহবান জানাই যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে সেটি যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যায়। এমন কোন ভূমিকা নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্থ হয়। কেউ কারো ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নাই। আমরা ফ্যাসিষ্ট ব্যবস্থার বদলের গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটা জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে করতে হবে। না হলের ঘরের ভেতরের শত্রুরা সুযোগ পাবে।

সোমবার বিকাল ৪ টায় ময়মনসিংহ নগরীর সি.কে ঘোষ রোডে সারিন্দা রেস্তোরাঁয় গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল এর আগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য যেমনি সংস্কার দরকার তেমনি সংস্কারের জন্যও নির্বাচন দরকার। কারণ জনগনের সম্মতি ছাড়া সংস্কার সম্ভব হবে না। কাজেই সংস্কার এবং নির্বাচনকে এক সাথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ঈদের পরে দেশের জনগন নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ জানতে চায়। সেই রোডম্যাপ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, ঈদের পরে দেশের জনগন নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চায়, বলে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই।

নূন্যতম জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়েই সংস্কার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করে সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচনই পারে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের গতিমুখে ফেরাতে’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবেশে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যা হচ্ছে তা সবাই সম্মুখেই হচ্ছে। গত ১৫ বছরে যত গুম, খুন ও নির্বিচারে হত্যাকান্ড হয়েছে, সেটার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও শেখ হাসিনাসহ যারা দায়ী তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কেবল তাদেরকেই নয়, দল হিসাবে এই হত্যাকান্ডের জন্য আওয়ামী লীগের দায় কতটুকুর সেটাও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য আইন প্রনয়ণ করতে হবে। এর ওপর নির্ভর করবে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী। কোন বিচার ছাড়া- তারা যেন কিছুই করেনি, সে হিসাবে তারা রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে পারে না।

 

গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, সবাইকে ঐক্য বজায়ে রাখতে হবে। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। ফ্যাসিষ্টের পলিসি ছিল দেশের জনগনকে বিভাজন কর, যারা বিরোধীতা করবে তাদেরকে শত্রু হিসাবে আখ্যায়িত করা। এই সমস্ত কিছু মোকাবেলা করে গণঅভ্যুত্থান তৈরী করেছি। ৭১ এর পরে আমাদের যেসব স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি, তা এখন আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলন ময়মনসিংহ জেলার আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সদস্য সচিব এআরএম মুসাদ্দিক আসিফ ছিলেন সঞ্চালকের ভূমিকায়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হোসেন রুবেল। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী বলেন, সকলেই বলছে সংস্কার চায়, সংস্কার এবং আন্দোলন পরস্পরের বিরোধীতা নয়। দেশের জনগন যেভাবে চায়, সেভাবে সংস্কার করতে হবে। বাংলাদেশকে বিপদে ফেলা যাবে না। সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

 

আবুল হোসেন রুবেল আরও বলেন, দেশে এক ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে। আপনারা দেখবেন ভারতীয় মিডিয়ায় কিছু খবর প্রকাশ হয়েছে। সেটি ভিউ ব্যবসায়ীরা কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশে এক ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

Leave a Reply

scroll to top