ভারত যেন ফ্যাসিবাদের সেফহোমে (নিরাপদ আশ্রয়স্থল)পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন,দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে।সোমবার(২০ জানুয়ারি)ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিমগাছ রোপন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশ রক্ষাকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন,বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে মানবজাতি এক বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে।বৈশ্বিকভাবে সবাই শঙ্কার মধ্যে আছেন।বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক তহবিল গঠন করে দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা করছে।এ বিষয়ে তৎপরতা না দেখালে আমরা ভালো ফল পাব না।এটি শুধু রাষ্ট্র বা সরকারের দায়িত্ব নয়। বরং এটি একটি সামাজিক আন্দোলন।
তিনি বলেন,৫ আগস্টের আগে যারা যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন,তারা বিভিন্ন মেগাপ্রজেক্টের নামে নদী-খাল ভরাট করেছে। তারা বৃক্ষ উধাও করে দিয়েছে।স্বৈরাচারের সময় মানুষের মঙ্গলের জন্য ভালো কিছু হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন,আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে কথা বলছি।এটা যে কত উচ্ছাসের, উল্লাসের আন্দন্দের।কিন্তু (ফ্যাসিবাদের সময়) আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে যেতে সাহস করতাম না।কখনো যদি যেতাম, তখন গাড়ির জানালাটা তুলে দিতাম। কেউ যেন না দেখে।ফ্যাসিবাদের সময় শেখ হাসিনা এভাবে চারিদিক বিপদাপন্ন করে তুলেছিল।আমরা যখন ছাত্র রাজনীতি করেছি,তখন দেখেছি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একনায়নতান্ত্রিক শাসনের সময়ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক ধরনের কর্পোরেট স্বায়ত্তশাসন ভোগ করেছে।কিন্তু শেখ হাসিনার সময় সে চিহ্ন টুকুও ছিল না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান রাখে ঐক্য গড়ে তোলার বিষয় মনে করিয়ে দেন রিজভী। গত ১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান সুযোগ ছিল না। তিনি আরো যুক্ত করেন পরিবেশকে আমাদের চিরস্থায়ী রাখতে হবে। যারা মানুষের সম্পদ ও টাকা পাচার করেছে, তাদের যেন পুনরুত্থান না হয়। তাই গণতান্ত্রিক সব আলোচনা-সমালোচনার পরও ন্যূনতম ঐক্য থাকতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ, সাদা দলের আহ্বায়ক মোর্শেদ হাসান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য লুৎফর রহমান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের অন্যতম পরিচালক ড. শাহ মোহাম্মদ আমানুল্লাহ প্রমুখ।