বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে খেজুর আমদানির তথ্য রয়েছে ১৯৭৭ সাল থেকে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যমতে, শুরুতে খুব সামান্য পরিমাণে খেজুর আমদানি হতো। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে আমদানি। যেমন এ শতকের প্রথম দশকে বছরে গড়ে ২৪ হাজার টন খেজুর আমদানি হতো। দ্বিতীয় দশকে তা দাঁড়ায় ৪৫ হাজার টনে। গত চার বছরে গড়ে আমদানি হচ্ছে ৮৬ হাজার টন করে।
এবার রোজার আগে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্বের ১৬টি দেশ থেকে ৩৭টি জাতের খেজুর এনেছেন ব্যবসায়ীরা—এমন তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। পরিমাণের হিসাবে ৬১ হাজার টন বা ৬ কোটি ১০ লাখ কেজি। এর মধ্যে দামি খেজুর আমদানি হয়েছে মাত্র তিন হাজার টন, মোট আমদানির ৫ শতাংশ। অর্থাৎ মেডজুল, আজোয়া, মাবরুম ও মরিয়মের মতো দামি খেজুরগুলোর আমদানি এখনো কম
পবিত্র রমজানে ইফতারে প্রায় সবাই খেজুর রাখেন। এই এক মাসে খেজুরের চাহিদাও বেড়ে যায়। ফলে বাজারে খেজুরের দাম কত বাড়ল, সবচেয়ে ভালো মানের ও দামের খেজুর কোনটি—এসব নিয়ে রোজাদারদের আগ্রহ থাকে।
সবচেয়ে দামি চারটি খেজুরের একটি হলো ‘মেডজুল’। এটিকে খেজুরের ‘রানি’ বলেও ডাকেন কেউ কেউ। বাজারে মেডজুলের তিন রকমের দাম পাওয়া গেছে। আকারে বড়, প্রায় দেড় থেকে আড়াই ইঞ্চি লম্বা মেডজুল, যা জাম্বো নামে পরিচিত। এটি বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর খুচরা দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।
মধ্যম মান ও আকারের মেডজুলের দাম পড়ছে পাইকারিতে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা, খুচরায় ১ হাজার ৫০০ টাকায়।
দামের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে আজোয়া। বিখ্যাত এই খেজুরের উৎপাদন হয় সৌদি আরবের মদিনায়। জনপ্রিয়তার বিবেচনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ন্যাশনাল-এর ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে আজোয়াকে খেজুরের ‘রাজা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে একসময় আজোয়া পাওয়া যেত সুপারশপ ও বড় বাজারগুলোয়। দাম বেশি থাকায় আমদানিও কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই খেজুরের আমদানি বেড়েছে। দাম কমেছে। এখন অলিগলির দোকানে, ভ্যানগাড়িতেও এই খেজুর পাওয়া যায়।