তুলসি গ্যাবর্ডের বক্তব্য মিথ্যা ও দুরভিসন্ধিমূলক: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব

New-Project-70.jpg

তুলসি গ্যাবর্ডের বক্তব্য মিথ্যা ও দুরভিসন্ধিমূলক: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

ভারতে দেয়া মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবর্ডের বক্তব্য মিথ্যা ও দুরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।

আজ (বুধবার) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাজীপুর মহানগর কোনাবাড়ী থানার ১২নং ওয়ার্ড শাখা আয়োজিত ওয়ার্ড সম্মেলন ও গণইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম সাইদুর রহমান, থানা সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক, সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদ।

ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব বলেন, ভারতে দেয়া মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবর্ডের বক্তব্য মিথ্যা ও দুরভিসন্ধিমূলক। এ বক্তব্য দিয়ে তুলসী ভারতকে খুশি করার অপচেষ্টা করছেন। কিন্তু আমরা জানিয়ে দিতে চাই ভারতের প্ররোচনায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভুল ম্যাসেজ দিলে তুলসীদের জন্য সুখকর হবে না। কেননা উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির সৃষ্টি করেছে কেবলমাত্র বাংলাদেশের মুসলমানরাই। যা বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে।

ভারতে সম্রাট শাহজাহানের পুত্র মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর ষড়যন্ত্র করলে এবং মুসলিম হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না করলে ভারতকে চরম খেসারত দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধিতে হাত দিলে ভারতকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। কসাই মোদি সরকারের উসকানিতেই উগ্রবাদী হিন্দুগোষ্ঠীরা ভারত থেকে মুসলিম স্থাপনা এবং ইসলামী নিদর্শন একে একে মুছে ফেলতে চায়। হোলি খেলাকে কেন্দ্র করে অনেক মসজিদ রঙ্গে ঢেকে দেয়া হয়েছে, অনেক মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। মুসলমান মা-বোনদের হত্যা-ধর্ষণ করে ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য কাজ করছে। ভারত মুসলমানের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ না করলে মুসলমানদের উচিত হবে ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তিনি বলেন, ভারত বরাবরই সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। উগ্র মোদি সরকারকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী ও ঘৃণিত ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করে মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় চরম মূল্য দিতে হবে মোদি সরকারকে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের পর নতুনভাবে সারাদেশে খুন-ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি চলছে মারাত্মকভাবে। তিনি প্রশাসনকে কঠোরহস্তে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর যাবৎ ধর্ষণ বন্ধে নতুন নতুন আইন করেও ধর্ষণ রোধ করা যাচ্ছে না। আগে ধর্ষণের উপকরণ বেপর্দা বা অশ্লীলতা বন্ধ করতে হবে। ইসলামের নির্দেশ পর্দার বিধান বাস্তবায়ন এবং ধর্ষণবন্ধে শরীয়ার আইনের বাস্তবায়ন করতে পারলে ১ মাসের মধ্যেই ধর্ষণ বন্ধ সম্ভব।

Leave a Reply

scroll to top