বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ সব মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে আর কোনো মামলা না থাকায় তার দেশে ফিরে রাজনীতি করার জন্য আর কোনো বাধাই রইলো না। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে তার দেশে ফেরার তোরজোর। ইতোমধ্যে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসের একটি বাড়ি তার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। দেশে ফিরে তিনি সেখানে উঠবেন।
তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও তার বড় বোন শাহীনা জামান বিন্দুর উত্তরাধীকার সূত্রে বারিধারা ডিওএইচএসে একটি বাড়ি আছে। বাড়িটি তারেক রহমানের শ্বশুর সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মাহবুব আলী খানের সূত্রে পাওয়া। বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। তারেক রহমান সস্ত্রীক ঢাকায় গিয়ে এই বাড়িতেই উঠতে চান। সেই লক্ষ্যে বাড়িটিতে বড় ধররণর সংস্কার কাজ চলছে। বাড়ির কিচেন, বাথরুমসহ অনেক অংশ ভেঙে আধুনিক ডিজাইনে কাজ করানো হচ্ছে।
তবে এখনই দেশে ফিরছেন না তারেক রহমান। নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরতে পারেন তিনি। তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক শুক্রবার (২১ মার্চ) এক অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরুর আগেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। ঢাকায় বাসাসহ সব প্রস্তুতি চলছে।’
এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
তবে ঈদের পরই খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এম এ মালেক বলেন, ম্যাডাম চিকিৎসা বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়েও দেশের মাটিতে দ্রুত ফিরে যেতে আগ্রহী। তিনি ঈদের পরই দেশে ফিরে যেতে চান।
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ব্যাপারে ডা. জাহিদ বলেন, ‘খুব শিগগিরই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দেশে ফিরে যাবেন খালেদা জিয়া।’
সেনা-সমর্থিত এক এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে একাধিক দুর্নীতির মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন তারেক রহমান। সেখানে তিনি পরিবারের সঙ্গেই থাকছেন।