তবে কী পরিকল্পিত ছিল শ্রীদেবীর মৃত্যু ?

New-Project-19.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীদেবীর আকস্মিক মৃত্যুতে ২০০ কোটি টাকা পেয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবার। তাই অনেকেই ধারণা করেন, হয়ত আগে থেকেই পরিকল্পিত ছিল তার মৃত্যু। যদিও এই তথ্যের প্রমাণ মেলেনি আজও। সম্প্রতি ঘটনা নিয়ে আবারও সড়গরম নেট পাড়া

বলিউডের ‘মিস হাওয়া হাওয়াই’ শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়েছিল ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে। যার অভিনয়, রুপে-গুণে মুগ্ধ ছিলেন সবাই। সেই কিংবদন্তির মারা যাওয়ার ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও, সেই রাতে দুবাইয়ের ওই হোটেলে শ্রীদেবীর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল? এখনও সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়ান প্রয়াত অভিনেত্রীর ভক্তরা।

সেবছর পারিবারিক বিয়েতে যোগ দিতে দুবাই গিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী। সেই সময় শ্রীদেবীর সঙ্গে ছিলেন স্বামী বনি কাপুর। দুই মেয়ে জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুর মুম্বাইয়ে ছিলেন। দুবাইয়ে বিয়ের মূল অনু্ষ্ঠানের পর মুম্বাইয়ে ফিরে এসেছিলেন বনি কাপুর। স্ত্রীকে চমকে দেওয়ার জন্য আবারও ২৪ ফেব্রুয়ারি সেখানে যান তিনি । স্বামীকে হঠাৎ দেখে খুশি হন। বেশ কিছুক্ষণ আড্ডাও করেন দুজনে। এরপর রাতের খাবার বাইরে করার পরিকল্পনা করেন তারা।

বাইরে যাবার আগে ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাথরুমে যান শ্রীদেবী। কিন্তু বেশ কিছু সময় কেটে যাওয়ার পরও তিনি বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় দরজায় ধাক্কা দেন বনি। তারপর পানি উপচে বাইরে চলে আসায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তিনি। শ্রীদেবীকে ওই অবস্থায় দেখে চমকে যান শ্রীদেবীর স্বামী। প্রথমে একাই তাকে বের করে আনার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুকে ফোন করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর তৎপর হয়ে ওঠে দুবাই পুলিশ। শুরু হয় মামলার তদন্ত কিন্তু আজও তার মিমাংসা হয়নি। খুব রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর। যে রহস্য আজ পর্যন্ত সমাধান হয়নি।

Leave a Reply

scroll to top