ঢাবিতে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক-এর স্মরণসভা

New-Project-21-2.jpg

ঢাবিতে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক-এর স্মরণসভা

ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এবং সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক-এর স্মরণে আয়োজিত এক শোকসভা আজ ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক, দক্ষ প্রশাসক এবং মানবিক গুণসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তাঁর চিন্তা-ভাবনা, ভাষা ও আচরণে সবসময় এক ধরনের সৌন্দর্য ছিল, যা তাঁকে আলাদা করে তুলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তিনি যে দায়িত্ব পালন করেছেন, তা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় যেসব সিদ্ধান্ত ও কাজ তিনি করেছেন, সেখানে সবসময় এক ধরনের মানসিক চাপ থাকত। তবুও তিনি মাথা ঠান্ডা রেখে, বিচক্ষণতার সঙ্গে সকল পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। এ দক্ষতা খুব কম মানুষেরই থাকে।”

স্মরণসভায় বক্তব্য দেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, যিনি বলেন, “অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক ছিলেন শিক্ষক ও প্রশাসকের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ। একাডেমিক পরিবেশকে মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে তিনি অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন।”

স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান, অধ্যাপক ফারুক আহমেদ, বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এবং বিভাগের অ্যালামনাইবৃন্দ। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করে বলেন, “তিনি শুধু শিক্ষক ছিলেন না, ছিলেন অভিভাবকসুলভ একজন মানুষ। তাঁর দিকনির্দেশনা বহু শিক্ষার্থীর জীবন বদলে দিয়েছে।”

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক-এর ছোট ভাই মো. আতিক উল্লাহ সিদ্দিক আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “আমাদের পরিবারের জন্য তিনি ছিলেন আশ্রয় ও ভরসার প্রতীক। তিনি সবসময় পরিবার ও পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে অসাধারণ ভারসাম্য বজায় রেখেছেন।”

সভায় প্রয়াত অধ্যাপকের জীবনের বিভিন্ন দিক—শিক্ষকতা, গবেষণা, প্রশাসনিক নেতৃত্ব, মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা—নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। বক্তারা বলেন, তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ ও মূল্যবোধ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

আয়োজন শেষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

Leave a Reply

scroll to top